একে চৈত্রের গরম তারপর কাজের প্রচণ্ড চাপ, জীবন দুর্বিষহ হওয়ার জোগাড়। কাজের চাপ আর নানা দায়িত্ব সামলে একঘেয়েমি ক্রমেই গ্রাস করছে জীবন। মন চাইছে প্রিয়জন বা বন্ধুবান্ধবদের হাত ধরে অজানার দেশে কয়েকদিনের জন্য হারিয়ে যেতে। কিন্তু দীর্ঘ ছুটি পাওয়ার সমস্যা। তাই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর জন্য উইকেন্ডই ভরসা। সমুদ্র সৈকতের তাজা হওয়া হয়তো মন কিছুটা ভালো করে দেবে, রাতের সমুদ্রের সামনে বসে ঢেউয়ের উথাল পাথাল জলরাশির খেলা দেখে জুড়িয়ে যাবে প্রাণ। কিন্তু কলকাতার কাছে যেসব সমুদ্রের ঠিকানা রয়েছে, সেখানে বেজায় ভিড়, উপায় কি?

উপায় নিশ্চয়ই আছে। চাঁদিপুর সমুদ্র সৈকত। চাঁদিপুর ওডিশার বালাসরের কাছে অবস্থিত একটি নির্জন সমুদ্র সৈকত। যেখানে আপনি ঢেউয়ের জলরাশি নিমেষে আপনার চোখের সামনে হারিয়ে যেতে দেখবেন। চাঁদিপুর সমুদ্র বিচকে অনেকেই “লুকোচুরি বিচ” নামেও চেনে। ভাটার সময় সমুদ্র পিছিয়ে যায় প্রায় ৫ কিলোমিটার, আর জোয়ারের সময় জল চলে আসে একদম পায়ের কাছে। ঝাউ বনে ঘেরা সোনালি বালুরাশির মাঝে অবস্থিত এই সমুদ্র সৈকত হয়ে উঠবে আপনার ভালোবাসার কারণ।

কীভাবে যাবেন: চাঁদিপুর বালাসোর রেল স্টেশন থেকে প্রায় ১৬ কিমি দূরে অবস্থিত। হাওড়া স্টেশন থেকে বালাসোর অবধি যাওয়ার অনেক ট্রেন আছে। সময় লাগে মাত্র সাড়ে ৩ ঘণ্টা। সেখান থেকে অটো বা গাড়িতে চাঁদিপুর।

কোথায় থাকবেন: বেশ কিছু হোটেল ও লজ আছে চাঁদিপুরে। সেখানে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থাও আছে। কিন্তু সবথেকে ভালো হয় যদি আপনি ওডিশা সরকারের পান্থ নিবাসটি থাকার জন্য পান। তার জন্য অবশ্যই আগে থেকে বুক করে যেতে হবে। হোটেলের গা ঘেঁষে বিস্তীর্ণ সমুদ্র।

কী কী দেখবেন: সমুদ্র সৈকতের ছাড়া এখানে আর দেখার মত কিছু নেই। কিন্তু আশেপাশে দেখার মত বেশ কিছু জায়গা আছে। যদি আপনার হাতে সময় থাকে তবে একটি গাড়ি ভাড়া করে ঘুরে দেখতে পারেন। রেমুনার
ক্ষির চুরা গোপীনাথ মন্দির দেখতে পারেন। রেমুনা থেকে চলে যান নীলগিরির জগন্নাথ মন্দির। এর খুব কাছেই রয়েছে ইমামি জগন্নাথ মন্দির। এটি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে তৈরী। মন্দিরের অপূর্ব কারুকাজ ও ভাস্কর্য আপনার নজর কাড়বে। এবার চলে যান নীলগিরি পাহাড়ের অপরূপ শোভা দেখতে দেখতে পঞ্চলিঙ্গেস্বর মন্দির। পাহাড়ের কোলে কুলডিহা ফরেস্ট রেঞ্জে অবস্থিত এই মন্দির অতি মনোরম স্থান।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।