নয়াদিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা ভারতে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা দেশ।প্রত্যেকদিন আক্রান্তের নিরিখে নতুন রেকর্ড করছে ভারত। এমতবস্থায় আর এক আশঙ্কার কথা শোনালেন বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট ডাঃ শহীদ জামিল।তিনি বলেন, ভারতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ছাড়াতে পারে। করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ চলবে মে মাসের শেষ পর্যন্ত। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছে ১ লক্ষ ৮৪ হাজার।

ডাঃ জামিল বলেন, ‘ভয়ঙ্কর গতিতে বাড়ছে করোনা। প্রত্যেকদিন ৭ শতাংশ হারে বাড়ছে সক্রিয় কেসের সংখ্যা। এটি আক্রান্তের সর্বোচ্চ হার। দুর্ভাগ্যক্রমে এইভাবে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকলে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ছাড়াতে বেশি সময় লাগবে না।’ তিনি আরোও বলেন, ‘নতুন মিউট্যান্টরা অবশ্যই আরও সংক্রামক তবে এগুলিকে কম মারাত্মক বলে দেখানোর ক্ষেত্রে সত্যিকারের কোনো সঠিক ডেটা নেই।’ অবশ্য তিনি ভারতে ভ্যাকসিন ঘাটতির বিষয়টি একেবারে উড়িয়ে দিয়েছেন।

তিনি ভ্যাকসিনের ঘাটতি নিয়ে বলেন, ‘সিরাম ইনস্টিটিউট মাসে প্রায় ৫০-৬০ মিলিয়ন ডোজ তৈরী করতে পারে। একইভাবে, ভারত বায়োটেক মাসে প্রায় ২০-৩০ মিলিয়ন ডোজ উত্পাদন করতে পারে। সরকারী তথ্যগুলো লক্ষ্য করলে দেখা যাবে ভারতের এই দুটি সংস্থা মাসে প্রায় ৩১০-৩২০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন তৈরি করেছে।যার মধ্যে ভারতে ১২০ মিলিয়ন ডোজ ব্যবহার হয়েছে। বিদেশে রফতানি হয়েছে ৬৫ মিলিয়ন। অর্থাৎ এখনও ভারতে ১০০ মিলিয়ন ডোজ রয়েছে। সুতরাং ভ্যাকসিন ঘাটতির প্রশ্ন নেই।’ তবে সরকার কিভাবে রাজ্যগুলোকে সরবরাহ করছে সে নিয়ে সমস্যা থাকতে পারে। দুটি সংস্থাই বেসরকারি। সুতরাং তাদের কাছে আপনি ১৫০ টাকায় ভ্যাকসিন কিনতে চাইলে, মনে হয় না সেটা সম্ভব।’

তিনি বলেন, ‘সমস্যা এখানেই, যখনই ভারতে ভ্যাকসিনের অনুমতি দেওয়া হল। মানুষের মধ্যে ধারণা তৈরী হয়ে গেল যে করোনা বোধ হয় আর নেই। কেউ আবার ভাবতে লাগলো ভ্যাকসিন নিলে বোধ হয় আর মাস্ক পরার দরকার নেই। মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে না চললে পরিস্থিতি আরও মারাত্মক হতে পারে।’

উল্লেখ্য।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্যানুযায়ী গত চব্বিশ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৩৭২। গত চব্বিশ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ১,০২৭ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮২,৩৩৯ জন। তবে এখনও পর্যন্ত দেশে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১৩,৬৫,৭০৪। বুধবার পর্যন্ত সারা দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁয়েছে ১ কোটি ৩৮ লক্ষ ৭৩ হাজার ৮২৫। আপাতত করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১ লক্ষ ৭২ হাজার ৮৫ জন। করোনা পরিস্থিতি বিচার করে মহারাষ্ট্রে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। সিবিএসই-এর দশম শ্রেণীর পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।