আমি স্ক্রিট ফাইটার আমাকে আটকাতে পারবে না। বিচারের ভার জনগণের হাতে দিলেন মমতা

ভোট-প্রচারে নিষেধাজ্ঞার অষ্ট প্রহর কাটতেই সভামঞ্চে হাজির হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক মিনিটও সময় নষ্ট না করে বারাসতে চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীর সমর্থনে সভা করলেন। সেই মঞ্চ থেকে প্রচারে নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বললেন, বিচারের ভার আমি জনগণের হাতেই ছেড়ে দিলাম।

বিচারের ভার আমি ছেড়ে দিলাম জনগণের হাতে

মঙ্গলবার একেবার শেষ বেলায় সন্ধ্যা আটটা নাগাদ জোড়া সভা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, আমার প্রচারে নিষেধাজ্ঞা আর বিজেপি নেতারা রোজ এসে প্রচার করে যাচ্ছেন। এই বিচারের ভার আমি ছেড়ে দিলাম জনগণের হাতে। ওঁরাই বিচার করবেন। তাঁর মুখে এই কথা শুনেই দলীয় কর্মী থেকে উপস্থিত সমর্থকরা চাঙ্গা হয়ে গেলেন।

নিষেধাজ্ঞার প্রহর শেষ হতেই মমতা প্রচারে

নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞায় পুরো একটা দিন প্রচার হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা কুম্ভ হয়ে লড়াই করছেন। তাঁর প্রচারকে স্তব্ধ করে দেওয়ার অর্থ তৃণমূলের হাইভোল্টেজ প্রচার প্রায় বন্ধ। যেটুকু করলেন অভিষেক। তাই নিষেধাজ্ঞার প্রহর শেষ হতেই মমতা ঝাঁপিয়ে পড়লেন পঞ্চম দফার প্রচারে। কেননা বুধবারই প্রচারের শেষ দিন।

কেন হারবে জানো? কারণ- আমি স্ট্রিট ফাইটার

বারাসতের জনসভা থেকে মমতা বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। তিনি বলেন, তোমাদের টাকা আছে, দালাল আছে। তা সত্ত্বেও তোমরা হারবে। কেন হারবে জানো? কারণ- আমি স্ট্রিট ফাইটার। আমি বরাবরই লড়াইয়ে থাকি। রাস্তায় নেমে লড়াই করি। তাই আমায় আঘাত করে লাভ নেই। আমি প্রত্যাঘাত করতে জানি।

মিহিদানা-খোঁচার জবাবে শক্তিগড়ের ল্যাংচা

এদিন মোদীর মিহিদানা-খোঁচার জবাবে শক্তিগড়ের ল্যাংচার কথা উল্লেখ করেন। বর্ধমানের ল্যাংচা খেয়েছেন কখনও। ল্যাংচা খাননি বলে ল্যাংচাতে হচ্ছে। এর আগে রাজ্যে ভোটের দিনেও মোদীর সভা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। বলেন, মোদী সভা করঠেন বলেই তিনিও নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত থাকছেন ভোচের দিনগুলোয়।