নয়া দিল্লি: হিন্দুদের কাছে ধর্ম একটি বিশেষ আবেগ। প্রতি বছর হাজার মানুষ চার ধাম যাত্রায় বের হন। কিন্তু গত বছরের মত এই বছরও করোনার দাপট জারি রয়েছে দেশে। প্রতি দিন সংক্রমিত ব্যক্তিদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে যা সংকটের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে আবার।
অনেক জায়গায় নাইট কারফিউ, লক ডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে নিয়ন্ত্রণের জন্যে। এর ফলে তীর্থস্থানগুলিতে যাত্রার ক্ষেত্রে এসেছে বাধা। তবে এর মধ্যেও ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিদের জন্যে খুশির খবর নিয়ে এসেছি। উত্তরাখণ্ডে অবস্থিত গঙ্গোত্রী ধামের দ্বার এবার খোলার শুভ মুহূর্ত এসে গিয়েছে।
এই পবিত্র ধামের দ্বার জনসাধারণের জন্যে খুলে দেওয়া হবে ১৫ ই মে থেকে। অক্ষয় তৃতীয়ার শুভ তিথিতে সম্পূর্ণ বিধি মেনে পুজো করে সকাল ৭.৩০টা নাগাদ খোলা হবে মন্দিরের দ্বার। চৈত্র নবরাত্রির পূণ্য তিথিতে পুরোহিতদের দ্বারা নির্ধারিত শুভ মুহূর্ত ও ক্ষণে এই মহান দ্বার খোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরো পোস্ট- লকডাউনে পার্টি… চিন্তা নয়, রইলো বেস্ট টিপস
শুভ মুহূর্ত অনুসারে ১৪ ই মে ১১.৪৫ মিনিটে মা গঙ্গার পালকি মুখবা উৎসবের মাধ্যমে রওনা দেবে। ধর্মীয় বিধি অনুসারে শীতকাল পড়তেই মা গঙ্গা তার বাড়ি মুখবা ফিরে যান। ১৪ তারিখ তিনি গঙ্গোত্রীর উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। ভৈরব ধামে রাত্রি কাটিয়ে ১৫ ই মে সকালে ম গঙ্গার পালকি গঙ্গোত্রী পৌঁছাবে। বলা হয় যে এই যাত্রার দরুন ভৈরব মন্দিরের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই মন্দিরের দর্শন না করলে এই ধাম যাত্রা সম্পূর্ণ হয় না।
অক্ষয় তৃতীয়ার শুভ মুহূর্তে আগামী ৬ মাসের জন্যে খুলে যাবে গঙ্গোত্রী মন্দিরের দরজা। দর্শনের উদ্দেশ্যে আগত সাধারণ ভক্তদের এবার মহামারীকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সামাজিক দূরত্ব, মাস্কের বিধি মানতেই হবে। করোনাকালে একদিকে যেখানে বিজ্ঞান এই ভাইরাসকে জব্দ করতে একের পর এক মারণবান ছুঁড়ছে, সেখানে সাধারণ মানুষের আস্থা আছে ঈশ্বরের শক্তির উপর।
গতবার মন্দির বন্ধ ছিল মহামারীর কারণে। তাই ভক্তরা দর্শন করতে পারেনি গঙ্গা দেবীর। এবার তাই সেই সংখ্যা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে যাবতীয় সুরক্ষাবিধি মেনে চলবে মন্দির কর্তৃপক্ষ। তবে সাধারণ মানুষকেও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.