ঘুরতে যেতে কে না ভালোবাসে। আর যদি পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার ব্যাপার হয় তবে তো আর কোনো কথাই নেই। আমরা যারা কলকাতায় থাকি, পাহাড়ের ঘুরতে যাওয়ার কথা মনে পড়লে প্রথমেই মাথায় আসে দার্জিলিংয়ের কথা। কিন্তু দার্জিলিং তো বেশ কয়েকবার ঘুরে দেখা হয়ে গেছে, তার মধ্যে দার্জিলিংয়ে ভিড়ও বড্ড বেশি। রোজ অফিসের এতো চাপ, শান্তির খোঁজে দুদিনের জন্য পাহাড়ে আশ্রয়। এই ভিড় কোলাহল কী আর ভালো লাগে? যাঁরা এই ভিড় এড়িয়ে দুটো দিন পাহাড়ে থাকতে চান তাদের জন্য আজ রইল একটি ঠিকানা। লেপচাজগত।
লেপচাজগত দার্জিলিং এর ঘুম স্টেশনের কাছে অবস্থিত এক ছোট্ট গ্রাম। উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭০০০ ফুট। অরবিট ডেস্টিনেশন হিসেবেও লেপচাজগত পাহাড় প্রেমীদের কাছে এক অনন্য স্থান।
কীভাবে যাবেন: কলকাতা থেকে এনজেপিগামী যেকোনো ট্রেনে এনজেপি স্টেশনে নামতে হবে। সেখান থেকে শেয়ার গাড়ি বা গাড়ি ভাড়া করে চলে যান লেপচাজগত। বাসেও যেতে পারেন। এনজেপি থেকে স্টেশন সংলগ্ন অটো স্ট্যান্ড থেকে অটো ধরে তেনজিং নোরগে/NBSTC বাস স্ট্যান্ড যেতে হবে। শিলিগুড়ি গামী বাসে তেনজিং নোরগে বাস স্ট্যান্ড এ নামতে হবে। বাস স্ট্যান্ডের সামনে থেকে প্রচুর শেয়ার গাড়ি ছাড়ছে।। দার্জিলিং গামী শেয়ার গাড়ি বা বাস স্ট্যান্ড থেকেই ছাড়ছে দার্জিলিংগামী বাসে ঘুম স্টেশন এ নামতে হবে। ঘুম স্টেশনের পাশ থেকেই সুখিয়াপোখরিগামী শেয়ার গাড়িতে লেপচাজগত নামতে হবে। যাত্রাপথে দৃশ্য মনোরম।
কোথায় থাকবেন: লেপচাজগতে থাকার জন্য অনেক হোম স্টে রয়েছে। সেখানে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থাও বেশ ভালো। আগে থেকে বুক করে গেলেই ভালো হয়।
কী কী দেখবেন: এই গ্রামের নর্থ ইস্ট প্রান্ত থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার সম্পূর্ণ রেঞ্জ দেখা যায়। লেপচাজগত ভিউ পয়েন্ট থেকে সূর্যোদয়ের সময় কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য সারাজীবনের স্মৃতি। লেপচাজগত পাইন গাছে ঘেরা একটু গ্রাম। পাইনের মাঝে অবস্থিত হোম স্টে তে থাকার অনুভূতি অন্যরকমের। সৌন্দর্য্য আরও বাড়িয়ে তোলে গুরাসফুলের নানা রঙের বিচ্ছিন্ন চাদর। অনেকরকম পাখির মিষ্টি সুরের ডাককে সঙ্গী করে প্রিয়জনের সাথে ২ দিন এখানে কাটাতে মন্দ লাগবে না।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.