অভাব বেড–অক্সিজেনের
এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে প্রথম সারির মাধব সরকারি হাসপাতালে, যা কোভিড-১৯ সেবা কেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছে। যদিও এই হাসপাতালে প্রাথমিক কিছু বিষয় না থাকার কারণে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যার মধ্যে প্রধান অক্সিজেন সাপোর্ট ও বেডের অভাব। যার ফলে বহু রোগীকেই মাটিতে শুতে বা ওপিটির চেয়ারে বসিয়ে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। এই ৬ জন রোগী কোভিড-১৯ নিশ্চিত রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন। এই হাসপাতালে ইতিমধ্যেই ১৩৫ জন কোভিড রোগীর চিকিৎসা চলছে।
সরকারি হাসপাতালে নেই অক্সিজেন
গত বছরের চেয়েও খারাপ পরিস্থিতি উজ্জ্বয়িনিতে, সোমবার এখানে ৩১৭টি নতুন করোনা কেস সনাক্ত হয়েছে। এই জেলায় সক্রিয় করোনা কেসের সংখ্যা ৮০৪৫। মাধব হাসপাতালে করুণ পরিস্থিতি সত্ত্বেও প্রশাসনিক আধিকারিকদের কেউই বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেননি। এমনকি হাসপাতালের চিকিৎসকরাও এ বিষয়ে কোড়ো মন্তব্য করতে চাননি। সম্প্রতি এই হাসপাতালে পাঁচজন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়, মৃতদের পরিবার দাবি করেছে যে অক্সিজেনের অভাবে তাদের বাড়ির লোকের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী মোহন যাদব সম্প্রতি জেলা হাসপাতাল (চরক) ও মাধব হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন এবং সুযোগি-সুবিধা কার্যকর করার নির্দেশ দেন।
অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু করোনা রোগীদের
সাগর (৫) এবং খারগোন (১) থেকেও করোনায় মৃত্যুর খবর রিপোর্ট হয়েছে এবং এই মৃত্যুর কারণ হিসাবে উঠে এসেছে অক্সিজেন সরবরাহ সঠিক সময়ে করা হয়নি। যদিও অক্সিজেন সাপোর্টের সঙ্গে এই মৃত্যুগুলির কোনও যোগ নেই বলে জানিয়েছে প্রশাসন। রাজ্য সরকার পরাযপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন মজুতের দাবি করলেও, সোমবারই ভোপাল শহরে অক্সিজেন সাপোর্টের অভাবে পাঁচজন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এই পাঁচজনের মধ্যে চারজন এমপি নগরের সিটি হাসপাতালে মারা গিয়েছে এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অক্সিজেনের মজুতে ঘাটতির কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে এবং অতিরিক্ত অক্সিজেন মজুতের বন্দোবস্ত করে উঠতে পারেনি। একই কারণে অন্য এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বিজিবিএম হাসপাতালে। শহরের আরও একটি বেসরকারী হাসপাতালে অক্সিজেন ফুরিয়ে যাওয়ার জন্য তিনজন রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং তাঁদের পরিবার তাঁদের অন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। মধ্যপ্রদেশের আরও একটি বড় হাসপাতাল অক্সিজেনে সরবরাহ নিয়ে সংগ্রাম করছে।
রাজ্যে অক্সিজেন পর্যাপ্ত, দাবি সরকারের
এই সমস্যা নিয়ে ভোপালের কালেক্টর অভিনাশ লাভালিয়া বলেন, ‘শহরের ৮০ টি হাসপাতালগুলিকে ৪৬ টন করে অক্সিজেন দেওয়া হয় এবং এই মৃত্যুর পেছনে প্রকৃত কারণ কি তা আমরা খতিয়ে দেখছি। আমাদের হাসপাতাল জানালেই আমরা অক্সিজেন সরবরাহ করব।' ইন্দোরের সাংসদ শঙ্কর লালওয়ানি জানিয়েছেন, ইন্দোরে অক্সিজেনের চাহিদা ৬০% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সঙ্কট সমাধানের জন্য তিনি কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করছেন। ইন্দোরের কালেক্টর মণীশ সিং অক্সিজেনের ঘাটতির কারণে মৃত্যুর বিষয়টি অস্বীকার করে জানান যে শহরের ছয় থেকে সাতটি হাসপাতাল অক্সিজেন সরবরাহের জন্য লড়াই করছে, তবে সেখানে এক হাজার সিলিন্ডার রয়েছে এবং তা ভর্তির জন্য নজরদারি করা হচ্ছে, যে কারণে ব্যক্তিগতভাবে অক্সিজেন প্লান্টে উপস্থিত রয়েছে সরকারি আধিকারিকেরা। সরকারের পক্ষ থেকে ক্রমাগত দাবি করা হচ্ছে যে রাজ্যে অক্সিজেনের ঘাটতি নেই। সোমবারও রাজ্যে নতুনভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৬৪৮৯ জন, যার মধ্যে সক্রিয় করোনা কেসের সংখ্যা ৩৮,৬৫১টি।