চতুর্থ দফার ভোটের বলি ৫
বঙ্গে চতুর্থ দফার ভোটে নজির বিহীন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কোচবিহারের শীতলকুচিতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাঠানটুলি গ্রামে ভোটের লাইনে গুলিতে মৃত্যু হয়েছে আনন্দ বর্মন নামে ১৮ বছরের এক যুবকের। এই ঘটনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেছে মৃত যুবকের পরিবার। অন্যদিকে মাথাভাঙার জোড়পাটকি গ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ জন গ্রামবাসী।
মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি
চতুর্থ দফার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন অমিত শাহের নির্দেশেই গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রধানমন্ত্রী মোদী কিছু আগে থেকেই জানতেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এদিকে আবার পাল্টা অমিত শাহ দাবি করেছেন মমতা কেবল জোড়পাটকির ৪ জন মৃতের নাম করছেন কারণ তাঁরা সংখ্যালঘু বলে। আনন্দ বর্মনের নাম একবারও উচ্চারণ করছেন না। অমিত শাহের এই মন্তব্যের পরেই ধর্মীয় মেরুকরণের জল্পনা পারদ চড়তে শুরু করেছে বঙ্গের রাজনীতিতে।
বিজোপি নেতাদের বিতর্কিত মন্তব্য
অমিত শাহের মন্তব্যর পরেও বিজেপির একাধিক নেতা শীতলকুচি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে বারবার শীতলকুচি হবে বলে রীতিমতো হুমকি দিয়েছেন। অন্যদিকে হাবরার বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা মন্তব্য করেন, ৪ জনকে নয় ৮ জনকে গুলি করে মারা উচিত ছিল শীতলকুচিতে। বিজেপি নেতাদের একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্যেই লুকিয়ে রয়েছে ধর্মীয় মেরুকরণের ইঙ্গিত এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
পঞ্চম দফার ভোটে প্রভাব
কোচবিহারের গুলি কাণ্ডের প্রভাব যে পঞ্চম দফার ভোটে পড়বে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। চতুর্থ দফার ভোেট ৫ জনের মৃত্যু নিয়েও ধর্মীয় ভাগাভাগি হচ্ছে। অমিত শাহ নিজেই বলেছেন প্রচার সভায় আনন্দ বর্মন রাজবংশী বলে তাঁর নাম নিচ্ছেন না মমতা। মুসলিম ভোটব্যাঙ্কের জন্য বারবার সিআরপিএফের গুলি চালানোর ঘটনায় মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক নজরে রেখে চলছেন মমতা। কাজেই নেতাদের আক্রমণ-আর পাল্টা আক্রমণই বলে দিচ্ছে পঞ্চম দফার ভোটে ধর্মীয় মেরুকরণের প্রবল প্রভাব পড়বে।