আগামী পর্বের নির্বাচনে সুবিধাজনক জায়গায় তৃণমূল!
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপ্রাণ চেষ্টা করছেন সংখ্যালঘু জনসংখ্যার ৩০ শতাংশকে তৃণমূলে ধরে রাখার। বিজেপির তীব্র লড়াইয়ের বিরুদ্ধে এঁরাই তৃণমূলের বড় শক্তি। আর শীতলকুচির ঘটনায় মুসলিম জনগণকে একীভূত করতে সফল হয়েছেন মমতা। ফলে আগামী পর্বের নির্বাচনে সুবিধাজনক জায়গায় থাকতে পারে তৃণমূল।
মুসলিম অধ্যুষিত আসনে তৃণমূল সুবিধাজনক জায়গায়
কলকাতা এবং মেটিয়াব্রুজ এবং গার্ডেনরিচের মতো মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতে তৃণমূল ভোট ব্যাংক ধরে রাখতে সক্ষম হবে। আর শহরতলির জেলাগুলিতেও যেখানে মুসলিম ভোট বেশি সেখানে তৃণমূল সুবিধা পাবে। উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তৃণমূল অনেকটা ধরে রাখতে সম্ভবপর হবে সংখ্যালঘু ভোটের সৌজন্যেই।
তৃণমূলের চোখ মালদহ-মুর্শিদাবাদ ও দুই দিনাজপুরে
মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূল এবার কামব্যাকের আশা করছে। এই চার জেলার মধ্যে ২৩টি আসনে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের চেয়ে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস আরও ভাল করতে পারে। বাকি আসনগুলিতে বিরোধীরা অনেক বেশি শক্তিশালী।
মমতা সফল সংখ্যালঘু ভোটকে একত্রিত করতে!
এখন পর্যন্ত ১৩৫টি আসনে ভোট পর্ব মিটেছে। চারটি দফার ভোট শেষ। বাকি চার দফায় ১৫৯ আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই পর্বে বিশেষ জোর দিয়েই এগোচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জোর দিচ্ছেন যত বেশি সংখ্যক আসন জেতা যায় তার দিকে। প্রাথমিকভাবে তিনি সফল সংখ্যালঘু ভোটকে একত্রিত করতে। এখন দেখার কতখানি ভোটব্যাঙ্কে পর্যবষিত হয়।
বিজেপির বিরুদ্ধে প্রেস্টিজ ফাইটে জিততে অঙ্ক মমতার
এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর একটি বড় শক্তি হল মহিলা ভোট। সংখ্যালঘু জনসংখ্যার ৩০ শতাংশকে ধরে রাখার পাশাপাশি প্রায় ৪৯ শতাংশ মহিলা ভোটের বড় অংশ কব্জা করতে চাইছেন তিনি। মোট কথা অঙ্ক কষেই তিনি এগোচ্ছেন ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রেস্টিজ ফাইটে জিততে।