আগে দোষীদের গরাদের ভেতরে দেখতে চাই, তারপরে কথা, একরোখা দাবিতে অনড় আনন্দ বর্মনের পরিবার

চতুর্থ দফার ভোটের প্রথম বলি হয়েছে কোচবিহারের শীতলকুচির বাসিন্দা ১৮ বছরে ছেলে আনন্দ বর্মন। প্রথম ভোটার আনন্দ। তাঁর মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না পরিবার। কারোর সঙ্গেই তাঁরা কোনও কথা বলতে রাজি নন। আগে শাসক দলের গুণ্ডাদের গ্রফতার করে তাঁদের ছেলের খুনিদের শাস্তি দিতে হবে। তারপরে কোনও কথা তাঁরা বলবেন। এদিকে আনন্দ বর্মন সহ কোচবিহারের আরও চার জনের মৃত্যু নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি।

ভোটের লাইনে গুলিতে মৃত্যু

চতুর্থ দফার ভোটে প্রথম ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছিল আঠেরো বছরের সদ্য ভোটার আনন্দবর্মন। শীতলকুচির প্রত্যন্ত গ্রামে স্কুলের বুথে ভোট দেন আনন্দ। প্রথম ভোট দেওয়ার আনন্দ নিয়ে বাইরে আসতেই বুলেটে বিদ্ধ হন তিনি। ভোটে দেওয়া হাতে কালি দেখানোর আগেই বুথের সামনেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আনন্দ বর্মন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে জানায়। তারপর থেকে রাগে ক্ষোভে ফুঁসছে শীতলকুচির আনন্দ বর্মনের পরিবার।

গ্রেফতারি দাবি

ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়ে গিয়েছে। একদিকে তৃণমূল কংগ্রেস আরেক দিকে বিজেপি। দুই দলের দড়ি টানা টানি চলছে। আনন্দ বর্মনের মৃত্যুর নেপথ্যে সিআরপিএফ রয়েছে বলে দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামিকাল মাথাভাঙা যাচ্ছেন। কিন্তু পরিবারের লোকেরা দাবি করেছেন তাঁরা কোনও কথা বলবেন না কোনও রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গেই। তাঁদের এখন একটাই দাবি আগে তৃণমূল কংগ্রেসের গুণ্ডাদের গ্রেফতার করা হোক। তারপরে কোনও কথা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার আগে কোনও কথা বলতে চান না তাঁরা এমনই দাবি করেছেন আনন্দ বর্মনের পরিবার।

মাথাভাঙা যাচ্ছেন মমতা

কোচবিহারের গুলি কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় রাজ্যরাজনীতি। কমিশন আর কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ করায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে ২৪ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। তারই প্রতিবাদে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে দুপুর ১২টা থেেক সত্যাগ্রহ আন্দোলন করেন মমতা। একা রাস্তায় হুইল চেয়ারে বসে অবস্থান বিক্ষোভ করেন তিনি। দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ তিনি সেখান থেকে রওনা হন। রাত আটটার পরে দুটি সভা করার কথা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আগামিকাল তিনি মাথাভাঙা যাবেন বলে জানা গিয়েছে। সেখানে তিনি কথা বলতে পারেন আনন্দ বর্মনের পরিবারের সঙ্গে।

তৃণমূলের গুণ্ডারাই খুন করেছে

শীতলকুচির পাঠানটুলি গ্রামের বাসিন্দা আনন্দ বর্মনকে হত্যা করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের গুণ্ডারাই। এমনই দাবি করেছেন তাঁর বাবা জগদীশ বর্মন। তাঁর অভিযোগ ভোটের দিন ভোটারদের ভয় দেখাতে বোমাবাজি করছিল তৃণমূলের গুণ্ডারা। তারপরেই ভোেটর লাইনে থাকা তাঁর ছেলেকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। তিনি দাবি করেছেন কারা তাঁর ছেলেকে গুলি করেছে সেটা জানেন এবং তাঁদের গ্রেফতার করে অবিলম্বে শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

Know all about
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।