গান্ধীমূর্তির নিচে বসে নাটক
এদিন অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, গান্ধীমূর্তির নিচে বসে নাটক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট বাড়ানোর চেষ্টা করছেন তিনি। অধীর আরও বলেছেন, যাঁরা আজ শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে গর্ব করছেন, জায়গায় জায়গায় শীতলকুচির মতো ঘটনা ঘটানো হবে বলে বলছেন, তাঁদেরকে জেলে ভরা উচিত ছিল মমতার।
নাটক করেন মমতা
এদিন অধীর চৌধুরী বলেন আগেও নাটক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জীবনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনেক নাটক দেখেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্যা ১৯৯৬ সালে বিধানসভা ভোটের অধীর চৌধুরী, সুলতান আহমেদদের গুণ্ডা বলে অভিযোগ করে টিকিট দেওয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৎকালীন রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করে তিনি সঙ্গে থাকা চাদর গলায় পেঁচিয়েছিলেন, আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ের কাছে। পরে অবশ্য তৃণমূল তৈরির পরে সুলতান আহমেদ তৃণমূলে যোগ দেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্বল
অধীর চৌধুরী এদিন বলেন, আজ বিজেপি নেতারা যে ভাষায় কথা বলছেন, বাংলা জুড়ে শীতলকুচি করব, সিআরপিএফকে বলব বুকে গুলি করতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্বল হওয়ার কারণেই বিজেপি নেতারা এইসব কথা বলে বেড়াতে পারছেন। অধীর চৌধুরী চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন, তারা যদি সরকারে থাকতেন, তাহলে এইসব নেতা ঘাড় ধাক্কা দিয়ে জেলে ভরে দিতে।
শীতলকুচি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা
এদিন অধীর চৌধুরী বলেছেন, তিনি শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে আদালতে যাচ্ছেন, জনস্বার্থ মামলা দায়ের করবেন। ইতিমধ্যেই তিনি আইনি কাগজপত্র রেডি করছেন বলে জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
অধীরের সোমবারের প্রতিক্রিয়া
নির্বাচন কমিশন সোমবার বিকেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারের ওপরে নিষেধাজ্ঞার কথা জানাতেই অধীর চৌধুরী বলেছিলেন, এই ঘটনাই প্রমাণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা নেই। উত্তেজনামূলক পরিবেশে মুখ্যমন্ত্রী আগুনে ঘি ঢেলে রাজনীতি করছেন বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি।