রাইপুর: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভয়ঙ্কর দৃশ্য ধরা পড়ল ছত্তিশগড়ে। হাসপাতালে মৃতের স্তুপ দেখলে শিহরিত হতে বাধ্য। একের পর এক মৃতদেহ খোলা আকাশের নিচে আবার কখনও হাসপাতালের মেঝেতে পড়ে রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাইপুরের ডাঃ ভীমরাও আম্বেদকর মেমোরিয়াল হাসপাতালে।এই ছবি আতঙ্ক বাড়াচ্ছে সকলের।
রাইপুরের ডাঃ ভীমরাও আম্বেদকর মেমোরিয়াল হাসপাতালে মৃতদেহ সংরক্ষণের জন্য যে জায়গা রয়েছে, সেই জায়গা এখন কম পড়ছে। সেই জায়গা ছাড়িয়ে গেছে মৃতের সারি। বাতানুকূল যন্ত্র থেকে অনেক দূরে মৃতদেহগুলি পড়ে আছে স্তূপাকারে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যে অসহায় হয়ে পড়েছে তা স্পষ্ট । করোনায় মৃতদের দ্রুত শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে স্তূপীকৃত করা হচ্ছে।
হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট এবং অক্সিজেন-সজ্জিত শয্যাগুলি গত এক সপ্তাহ ধরে প্রায় ১০০ শতাংশ দখল রয়েছে। বেডের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, “কেউ অনুমান করতে পারে নি যে একসাথে এত বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটবে। আমাদের কাছে সাধারণ মৃত্যুর সংখ্যার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ফ্রিজার রয়েছে। তবে আমরা বুঝতে পারছি না যে এক থেকে দু’জনের মৃত্যুর জায়গাগুলি কীভাবে ১০-২০ জনকে রাখা হবে। আমরা যদি ১০-২০র জন্য প্রস্তুত করি তবে ৫০-৬০ জন লোক মারা যাচ্ছে। আমরা এভাবে একসাথে এত লোকের জন্য ফ্রিজারের ব্যবস্থা কিভাবে করব?’
রাইপুরের চিফ মেডিকেল অ্যান্ড হেল্থ অফিসার মীরা বাঘেল এক স্বীকার করে নিলেন যে,আমরা এখনও এই নতুন তরঙ্গকে সামাল দিতে পারছি না।উপসর্গহীন রোগীরা দ্রুত ক্ষতির সম্মুক্ষীণ হচ্ছেন এবং হার্ট অ্যাটাকের কারণে মারা যাচ্ছেন।সরকারী সূত্রে জানা গেছে, রাইপুর শহরে প্রতিদিন গড়ে ৫৫ টি মরদেহ দাহ করা হচ্ছে এবং তাদের বেশিরভাগই করোনভাইরাস রোগী।
দ্বিতীয় তরঙ্গ দ্বারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এমন দশটি রাজ্যের মধ্যে ছত্তিশগড় রয়েছে। রবিবার ১০,৫২১টি নতুন কোভিড সংক্রমণ হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ৪,৪৩,২৯৭। মৃত্যু হয়েছে ১২২ জনের।সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ রাইপুর ও দুর্গ জেলা – যা লকডাউনের আওতায় রয়েছে।একদিনে রাইপুরে আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৮৩৩ জন। দুর্গ জেলায় একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৬৫০ জন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.