কলকাতা: তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেনজির আক্রমণ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। সোমবার তৃণমূলনেত্রীর প্রচারে ২৪ ঘণ্টার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে এবার তৃণমূল সুপ্রিমোকে কড়া ভাষায় বিঁধলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘‘২৪ ঘণ্টা নয়, গোটা নির্বাচনটাই ওঁকে ব্যান করা উচিত ছিল।’’

নির্বাচনী সভায় উসকানিমূলক মন্তব্যের জেরে সোমবার রাত ৮টা থেকে মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের সিদ্ধান্তকে অগণতান্ত্রিক বলে আখ্যা দিয়ে আজ কলকাতায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আজ দুপুর বারোটা থেকে কলকাতার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনা বসবেন তিনি।

জাতীয় নির্বাচন কমিশনের রোষের মুখে পড়েন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংখ্যালঘু ভোট-ভাগ নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোর মন্তব্যে বেজায় চটেছে নির্বাচন কমিশন। এব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠায় জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই চিঠির উত্তরও দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরে একেবারেই সন্তুষ্ট নয় নির্বাচন কমিশন। রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে তৃণমূলনেত্রীর ‘গা-গরম’ করা ভাষণে অশান্তির আবহ তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছে কমিশন। তারই জেরে রাজ্যে নির্বাচন চলাকালীন গন্ডগোল বাড়ছে বলে মনে হয়েছে কমিশনের। সেই কারণেই এবার তৃণমূলনেত্রীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের।

বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনা করে এপ্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘‘২৪ ঘণ্টা নয়, গোটা নির্বাচনটাই ওঁকে ব্যান করা উচিত ছিল। বিজেপি মমতার মতো রাস্তায় নামেনি। এটা দুঃখের বিষয় উনি আজ রাস্তায় বসে পড়েছেন। উসকানি ছড়াচ্ছেন, সাম্প্রদায়িক কথা বলছেন। উনি একজন দায়িত্বজ্ঞানহীন মুখ্যমন্ত্রী।’’

এদিকে, তৃণমূলের তরফে কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে স্বৈরাচারী পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। তৃণমূলের একাধিক শীর্ষ নেতা কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মুখ খুলেছেন। তৃণমূলনেত্রী নিজেও সোমবারই টুইটে কমিশনের সিদ্ধান্তের কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে দাবি তৃণমূল সুপ্রিমোর।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।