‌ভারতে তৃতীয় ভ্যাকসিন হিসাবে অনুমোদিত স্পুটনিক ভি সম্পর্কে জেনে নিন সব তথ্য

মঙ্গলবার ভারতের ওষুধ নিয়ামক সংস্থা ডিসিজিআই রাশিয়ার স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনকে আপৎকালীন ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে। কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিনের পর এটি তৃতীয় নম্বর ভ্যাকসিন যা ভারতে জরুরি ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র পেল। এই পদক্ষেপের পর ভারত ৬০ তম দেশে পরিণত হল যারা স্পুটনিক ভিকে অনুমোদন দিল। আরডিআইএফ জানিয়েছে যে ভারতে এই স্পুটনিক ভি–এর ভ্যাকসিন আসতে পারে এপ্রিলের শেষে বা মে মাসের প্রথম দিকে। এই ভ্যাকসিন ভারতে আসার আগে আসুন জেনে নিই কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

এই ভ্যাকসিন কারা তৈরি করেছেন

এই ভ্যাকসিনের স্রষ্টা হল মস্কোর গামালিয়া ন্যাশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি এবং এটি রেজিস্ট্রার হয় ২০২০ সালের অগাস্ট মাসে রাশিয়াতে গাম-কোভিড ভ্যাক হিসাবে। এই ভ্যাকসিনের শেষে ‘‌ভি'‌, ইংরাজি বর্ণমালা ‘‌ভি'‌-কে বুঝিয়েছে, রোমান অক্ষরে পাঁচ নয় এর অর্থ। মানুষের মধ্যে সাধারণ সর্দিকাশি হয় এমন দু'‌টি ভিন্ন ভাইরাসের বিরুদ্ধে এটি ব্যবহার করা হয়।

এই ভ্যাকসিন সংরক্ষণের সঠিক তাপমাত্রা কি

স্পুটনিক ভি সংরক্ষণ করে রাখার জন্য ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার প্রয়োজন রয়েছে। এর অর্থ এটি নিয়মিত ফ্রিজেও রাখা যায় এবং এর জন্য আলাদা করে কোল্ড চেইন পরিকাঠামোর প্রয়োজন নেই।

এই ভ্যাকসিনের ডোজ সংখ্যা

স্পুটনিক ভি-এর ২টি ডোজ দেওয়া হবে, যেমনটা কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিনের জন্য প্রযোজ্য। প্রথম ডোজের ২১ দিন অন্তর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে।

এই ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর

স্পুটনিক ভি ৯১.‌৫ শতাংশ কার্যকারিতা দেখিয়েছে, যা মডার্না ও ফাইজার-বায়োটেকের কার্যকারিতাকে ছাপিয়ে গিয়েছে। ভারতে অনুমোদনের আগে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল হয়েছে।

কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে

৬ এপ্রিল রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা টাস দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রী মিখাইল মুরোস্কোর উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে ০.‌১ শতাংশ কেসে স্পুটনিক ভি-এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মিলেছে। এর আগে স্পুটনিক ভি-এর তাড়াহুড়ো করে বিকাশ, তথ্যের অনুপস্থিত ও স্বচ্ছতার অভাবের জন্য সমালোচিত হয়েছে।

স্পুটনিক ভি–এর মূল্য

বর্তমানে এই ভ্যাকসিনের মূল্য ভারতে কত নির্ধারণ হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে এই ভ্যাকসিনের প্রতি শট ৭৫০ টাকা করে।

ভারতে উৎপাদনকারী

ভারতে ডক্টর রেড্ডি ল্যাবোরেটরির সঙ্গে আরডিআইএফ স্পুটনিক ভি-এর ট্রায়াল, উৎপাদন ও সরবরাহে জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে ভারত এই ভ্যাকসিনের ২৫ কোটি ডোজ পাবে। ডক্টর রেড্ডি ছাড়া চুক্তি হয়েছে গ্লান্ড ফার্মা, হেটোরো বায়ো ফার্মা, প্যানাসিয়া বায়োটেক, স্টেলিস বায়োফার্মা ও ভার্চো বায়েটেক। এই ফার্মাগুলির লক্ষ্য হল বছরে ৮৫ কোটির বেশি ডোজ উৎপাদন করা।

নববর্ষের প্রথম দিন থেকেই অর্থভাগ্য তুঙ্গে রাখতে কিছু বাস্তুশাস্ত্র টিপস