লাদাখ সীমান্তে মোতায়েন চিনের মিসাইল ব্যাটারি! বেজিংয়ের অনড় মনোভাবে বাড়ছে উত্তাপ

চিনকে নিয়ে এখনও নিশ্চিন্ত হতে পারছে না ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি৷ সূত্রের খবর, পূর্ব লাদাখের কাছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় এখনও ভূমি থেকে আকাশে লক্ষ্যভেদকারী ক্ষেপণাস্ত্রের ব্য়াটারি মজুত করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে বেজিং৷ আর তাদের এই ভূমিকাই চিন্তা বাড়াচ্ছে নয়াদিল্লির৷ চিনের কার্যকলাপের উপর লাগাতার নজর রাখছেন ভারতের গোয়েন্দা ও নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা৷

মোতায়েন এইচকিউ-৯

সূত্রের খবর, এইচকিউ-৯ ক্ষেপণাস্ত্রটি আদতে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র এস-৩০০-এর ঠিক উল্টো প্রতিরূপ৷ রাশিয়ার ওই ক্ষেপণাস্ত্রব্য়বস্থা আকাশে থেকে হামলা করতে সক্ষম৷ অন্যদিকে, এইচকিউ-৯ প্রায় ২৫০ কিলোমিটারের মধ্যে লক্ষ্য়বস্তুকে খুঁজে তাকে ধ্বংস করতে সক্ষম৷

কাশগারে যুদ্ধবিমান মাঝেমধ্যেই আবার বাড়ছে

শোনা যাচ্ছে, ইদানীং হোটান এবং কাশগারে যুদ্ধবিমানের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেকটাই কমানো হয়েছে৷ কিন্তু যুদ্ধবিমানের এই সংখ্যা মাঝেমধ্যেই আবার বাড়ছেও৷ এরই মাঝে গত সপ্তাহে ফএর একবার সেনা কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে বসেছিল ভারত ও চিন। সেনা পর্যায়ের ১১তম বৈঠক ছিল সেটি। তবে সেই বৈঠকেও কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি বলে জানা গিয়েছে। সেনা মোতায়েনের বিষয়ে অনড় রয়েছে চিন।

গ্রীষ্মকালীন সেনা মোতায়েনের প্রক্রিয়া শুরু

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই প্য়াংগং হ্রদ লাগোয়া এলাকা থেকে পিছু হটেছে ভারত ও চিনের বাহিনী৷ তবুও দুই তরফেই এখনও গোগরা এবং হট স্প্রিংয়ে পর্যন্ত সেনা মোতায়েন বহাল রাখা হয়েছে৷ ইতিমধ্যেই লাদাখ সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় গ্রীষ্মকালীন সেনা মোতায়েনের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে ভারত৷

উত্তর-পূর্বের সীমান্তে বাহিনীর সংখ্যা লাগাতার বাড়ানো হচ্ছে

উল্লেখ্য, গত বছর থেকেই সীমান্তে অনেক বেশি পরিমাণে সেনা মোতায়েন করে রেখেছে ভারত ও চিন৷ সুগার সেক্টর, সেন্ট্রাল সেক্টর এবং উত্তর-পূর্বের সীমান্তে বাহিনীর সংখ্যা লাগাতার বাড়ানো হচ্ছে৷ যদিও এরই পাশাপাশি চলছে আলোচনা৷ ভারত-চিন সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্য়াহার নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা হচ্ছে দুই পক্ষের মধ্যে৷