
উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত ১.৬১ লক্ষ, মৃত্যু হয়েছে ৮৭৯ জনের। এই বৃদ্ধির জেরে করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৩৬ লক্ষ ৮৯ হাজার ৪৫৩। আমেরিকার পর ভারত এখন দ্বিতীয় দেশ যেখানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ পেরিয়েছে। বর্তমানে আমেরিকার থেকে ভারতে অনেক বেশি দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস৷
খারাপ প্রভাব পড়েছে ভারতের শ্রমবাজারে
সংক্রমণের হিসাব বলছে মার্চে ৩১ তারিখে যেখানে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭০,০০০ সেখানে হঠাৎ করে ১১ এপ্রিলে গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১,৭০,০০০। এদিকে করোনা ঠেকাতে একাধিক রাজ্যেই ইতিমধ্যে আংশিক লকডাউন, ও নাইট কার্ফু জারি করা হয়েছে। পুনরায় এই লকডাউন এবং কার্ফুর ফলে খারাপ প্রভাব পড়েছে ভারতের শ্রমবাজারের ওপরে। এমনকী এই সঙ্কটের জেরে দেশে ফের বেকারত্ব বেড়েছে ৯.৮১%
১৬টি রাজ্য নিয়ে চিন্তায় কেন্দ্র
এদিকে দেশের করোনা পরিস্থিতি অবনতি নিয়ে সম্প্রতি নিয়ে ১৬টি রাজ্যের নাম নেয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সেখানে হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, গুজরাত, অন্ধ্রপ্রদেশ,তামিলনাড়ু, পঞ্জাব,কেরল, তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড়, উত্তরপ্রদেশ,দিল্লি, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের নাম রয়েছে। যদিও দেশের করোনা আক্রান্তের সিংহভাগ রোগীরই খোঁজ মিলছে মহারাষ্ট্র থেকে। অন্যদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, দেশের মধ্যে এইসব রাজ্যে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে করোনা ভাইরাস।
কমছে সুস্থতার হার
এদিকে গত বছরের তুলনায় এ বছর আরও ভয়ঙ্কর রুপ নিয়েছে করোনা। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেশের দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাকেও বাড়িয়ে দিয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮৭৯ জনের। যা মার্চের শুরুতেও দেশের দৈনিক মৃত্যু থাকছিল ১০০-১৫০ ঘরে। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৭১ হাজার ৫৮ জনের। একইসাথে দেশে সুস্থতার হার নেমে এসেছে ৮৯.৫ শতাংশে। আর এখানেই উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তবে এখনই য়ে করোনা মুক্তির পথ দেখতে পাবে না বিশ্ববাসী তা এদিন ফের জানান হু প্রধান।