কলকাতা: শীতলকুচির ঘটনায় মন্তব্যের জেরে এবার নোটিস পাঠানো হল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। নির্বাচনের তরফে তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল, বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে তাঁকে নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, শীতলকুচি নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ তা কোড অফ কনটাক্ট ভেঙেছে। তাঁর মন্তব্য হিংসা ছড়াতে পারে বলেও মনে করছে কমিশন। তাই কমিশনের তরফে নোটিস পাঠানো হয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। নোটিসে স্পষ্ট বলা হয়েছে বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে যেন তিনি নোটিসের জবাব কমিশনের কাছে পাঠান। যদিও দিলীপ ঘোষের বক্তব্য তিনি এখনও নোটিস পাননি। পেলে তিনি নোটিস পড়ে মন্তব্য করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, শীতলকুচিতে যে দুষ্টু ছেলেরা গুলি খেয়েছে তারা থাকবে না বাংলায়। সবে শুরু হয়েছে। যারা ভেবেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখানোর জন্য বন্দুক নিয়ে এসেছে তারা বুঝেছে ওর গুলির ধরন কীরকম। এটা সারা বাংলায় হবে। যদি কেউ আইন হাতে নিতে আসে তাকে যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। আমি আশা করব ১৭ তারিখ সেই দিন আসছে যেদিন আপনারা সকালগেলা গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিন। সেন্ট্রাল ফোর্স বুথে থাকবে। কেউ লাল চোখ দেখাতে পারবে না। তাহলে আমরা আছি। আর যদি বাড়াবাড়ি করে, শীতলকুচি দেখেছেন কী হয়েছে। জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে। সেই জন্য সাবধান থাকুন।”

এদিকে শীতলকুচির ঘটনার উপর মন্তব্যের জেরে নির্বাচন কমিশনের নজরে আরও এক বিজেপি নেতা। শীতলকুচি ঘটনায় মন্তব্যের জেরে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার করতে পারবেন না রাহুল সিনহা। নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞায় লেখা রয়েছে, রাহুল সিনহার বক্তব্য উসকানিমূলক। এছাড়া তাঁর মন্তব্য আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে। এর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর। তবে যেহেতু আজ রাত ১০টায় প্রচার শেষ তাই তিনি আদতেও পঞ্চম দফা নির্বাচনের আগে কোনও প্রচার তিনি করতে পারবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।