রাজ্যে বিজেপি বড় রাজনৈতিক শক্তি
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি বড় রাজনৈতিক শক্তি। এব্যাপারে দ্বিতীয় কোনও মত চলবে না। এমনটাই মন্তব্য করেছেন প্রশান্ত কিশোর। যদিও গত সপ্তাহের শেষে বিজেপির তরফে যেসব অডিও ক্লিপ প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে প্রশান্ত কিশোরকে বলতে শোনা গিয়েছিল বাংলায় মোদীর জনপ্রিয়তা মমতার থেকে কোনও অংশেই কম নয়। পাশাপাশি একাধিক কারণে বিজেপি রাজ্যে এগিয়ে রয়েছে, বলতে শোনা গিয়েছিল প্রশান্ত কিশোরকে। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। কীভাবে তৃণমূলের ভোটকুশলী এই ধরনের কথা বললেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল।
প্রশান্ত কিশোরের সাফাই
প্রশান্ত কিশোর বলেছিলেন, বিজেপি যে ৪০ শতাংশ ভোট পাচ্ছে তা প্রধানমন্ত্রী মোদীর জনপ্রিয়তা, ধর্মীয় ভিত্তিতে ভোট ভাগ, দলিতদের সমর্থন এবং হিন্দিভাষীদের জন্য। তিনি বলছেন, বিজেপি শক্তিশালী হলেও নির্বাচনে হারতে পারে। তিনি বলেছেন, শক্তিশালী হওয়া আর নির্বাচনে জেতার মধ্যে অনেক তফাত রয়েছে।
মোদীর জনপ্রিয়তা বেশি করে দেখানোর পক্ষপাতি
স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসেবে তাঁর কাজই হল প্রতিযোগিতায় কাউকে ছোট না করা। তিনি বলেছেন, যদি তিনি বিরোধীদলের শক্তিকে স্বীকার করে নিয়ে নিজের স্ট্র্যাটেজিতে তা অন্তর্ভুক্ত করেন, তার মানে এই নয়, তিনি বিরোধীদলের ফ্যান। প্রশান্ত কিশোর আরও বলেছেন, যদি তাঁর সমীক্ষায় দেখা যায় মোদীর জনপ্রিয়তা ৪০, তাহলে তিনি তাকে ৫০ দেখানোর পক্ষপাতি।
মানসিক সুবিধা বিজেপিকে
নির্বাচন কমিশন বিজেপিকে মানসিক সুবিধা তৈরি করে দিয়েছে। কেনা যেসব জায়গাগুলিতে বিজেপি শক্তিশালী সেইসব জায়গাগুলিতে ভোটের দিন আগে ফেলা হয়েছে। আর যেসব জায়গায় তৃণমূল শক্তিশালী, সেইসব জায়গায় পরে ভোটের দিন ফেলা হয়েছে। নির্বাচনী সূচির মানসিক সুবিধা পেয়েছে বিজেপি, মন্তব্য করেছেন প্রশান্ত কিশোর। এখনও পর্যন্ত তিনি এই ধরনের সূচি কোথাও দেখেননি বলেই জানিয়েছেন। কোনও কোনও জেলায় তিনদফায় নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।