লখনউ: বাবরি রায়ের পুরস্কর? কথাটার উত্তর সরাসরি না মিললেও ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ সেদিকেই ইঙ্গিত করছেন। প্রাক্তন বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার যাদবকে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ করল যোগী আদিত্যনাথের সরকার। উত্তরপ্রদেশের ডেপুটি লোকায়ুক্ত পদে নিয়োগ করা হয়েছে বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার যাদবকে। সিবিআই বিশেষ আদালতের এই প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এবার যোগী সরকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।

বাবরি মসজিদ ধ্বংসে বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি, মুরলী মনোহর জোশি, উমা ভারতী-সহ মোট ৩২ জনকে বেকসুর খালাস করেন সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার যাদব। তাঁদের নির্দোষ বলে বর্ণনা করেন বিচারপতি। সেই বিচারপতিই এবার উত্তরপ্রদেশের ডেপুটি লোকায়ুক্ত পদে দায়িত্ব সামলাবেন। গত বছরের শেষ দিকে বাবরি-রায় শোনায় সিবিআই বিশেষ আদালত। দশকের পর দশক ধরে চলে আসা বিতর্কে যবনিকা পড়ে। লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত বাবরি-রায় দিতে গিয়ে জানায়, বাবরি মসজিদ ধ্বংস পূর্ব পরিকল্পিত ছিল না। এরই পাশাপাশি মসজিদ ধ্বংসের বিষয়টিকে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র বলেও বিবেচনা করা ঠিক হবে না।

বাবরি-মসজিদ কাণ্ডে এই মন্তব্য করার পরেই অভিযুক্ত বিজেপির লৌহমানব লালকৃষ্ণ আদবানি, মুরলী মনোহর জোশি, উমা ভারতী-সহ মোট ৩২ জনকে বেকসুর খালাস করেন লখনউয়ের সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার যাদব। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করে, বাবরিকাণ্ডে প্রত্যেক অভিযুক্তই ষড়যন্ত্রে সামিল ছিলেন। তাঁরাই করসেবকদের ক্রমাগত উসকানি দিচ্ছিলেন।

করসেবকরা যাতে মসজিদ ধ্বংসকরেন সেব্যাপারে তাঁদের প্রত্যক্ষ মদত ছিল বলে দাবি করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারপতি তদন্তকারীদের সেই দাবিকে আমল দেননি। তিনি জানান, তথ্য প্রমাণ হিসেবে সিবিআইয়ের দেওয়া ভিডিও পরিস্কার নয়। ভিডিওর ফুটেজের সত্যতা যাচাই হয়নি। ‘সমাজবিরোধীরা’ মসজিদের উপরে উঠে গিয়েছিল বলে তিনি বর্ণনা করেছিলেন।

এর আগে অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণে ছাড়পত্র দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈও দায়িত্বকালের মেয়াদ শেষ হতেই বিজেপির টিকিটে রাজ্যসভার সাংসদ মনোনীত হন। এবার পালা সুরেন্দ্র কুমার যাদবের। প্রাক্তন বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার যাদবকে উত্তর প্রদেশের ডেপুটি লোকায়ুক্ত পদে নিয়োগ করেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।