হুগলী: রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ক্রমেই ঊর্ধমুখী। সেদিকে নজর দিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে নবান্ন। অন্যদিকে সচেতন হয়ে এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য তারকেশ্বর মন্দিরের গর্ভগৃহ বন্ধ করল মন্দির কর্তৃপক্ষ। পুণ্যার্থীদের জন্য মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
তারকেশ্বর মন্দির এসেস্টের মোহান্ত মহারাজ দন্ডীস্বামী সুরেশ্বর আশ্রম জানিয়েছেন, লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা বাড়ছে। যদি আমরা সচেতন না হই সেক্ষেত্রে তারকেশ্বরকে রক্ষা করা যাবে না।
তবে মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ বন্ধ হলেও মন্দিরে প্রবেশ করতে বা জল ঢালতে পারবেন ভক্তরা। সেক্ষেত্রে চোঙায় করে জল ঢালতে হবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া মন্দিরে প্রবেশ করতে হলে মুখে মাস্ক পরে করোনা বিধি মেনে ভক্তরা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য,করোনা পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ ভক্তদের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তারকেশ্বর মন্দিরের দরজা৷ তারপর ৪ সেপ্টেম্বর পুনরায় ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয় তারকেশ্বর মন্দির৷ তবে গর্ভগৃহে প্রবেশে ছিল নিষেধাজ্ঞা৷
সেই সময় মন্দিরে তিনটি গেট পর্যায়ক্রমে খোলে দেওয়া হয়েছিল৷ সামাজিক দূরত্ব মেনে মন্দিরের ভিতরে ঢোকতে হয়েছে ভক্তদের৷ তারপর চোঙের মাধ্যমে জল ঢালতে হয়েছে ভক্তদের৷ অর্থাৎ দূর থেকেই বাবা তারকনাথকে দর্শন করে ফিরতে হয়৷ করোনা নিয়ম কানুন মেনে পুজো দেওয়া গেলেও গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে পারেননি ভক্তরা৷ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়,সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত খোলা থাকবে মন্দিরের গর্ভগৃহ৷ একসঙ্গে ৬ জনের বেশি গর্ভগৃহে যেতে পারবেন না৷ শুধু তাই নয় যে সব ভক্ত গর্ভগৃহে যাবেন,তাদের মাস্ক ও স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক করা হয়৷
প্রসঙ্গত, কীভাবে করোনাকে বাগে আনা যায় তা নিয়ে এদিন নবান্নে বৈঠক বসেছে। করোনা মোকাবিলায় কী করণীয় তা নিয়ে আলোচনায় এদিন হাজির ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া হাজির ছিলেন নানা ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরাও।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.