হাওড়া: একে অপরের জন্য জীবনভর পাশে থাকার কথা দিয়েছিলেন। তারপর সংসার শুরু। আর এরই মাঝে তৃতীয় ব্যক্তির অনুপ্রবেশ। গোপনে সবই ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু ছবিটা দেখার পর সব পাল্টে গেল।

স্ত্রীর মোবাইলে যত্ন করে রাখা আছে অন্য পুরুষের সঙ্গে স্ত্রীর- ই ছবি। এই ছবি দেখে আত্মঘাতী হলেন হাওড়ার বাসিন্দা আমন সাউ। স্বামীর আত্মহত্যার দৃশ্য ভিডিও করলেন স্ত্রী নেহা। ভয়ঙ্কর এই মানসিকতার কী বিশ্লেষণ করবেন মনোবিশ্লেষকরা তা রীতিমতো চর্চার। নেহা আপাতত জেল হেফাজতে।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে হাওড়ায় বালির তর্ক সিদ্ধান্ত লেনে। আমন সাউয়ের মৃত্যুর দু’দিন পর উদ্ধার হয়েছে স্ত্রী নেহার মোবাইল। সেই মোবাইল ঘেঁটে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কীভাবে স্বামীর আত্মহত্যার মুহূর্ত ভিডিও করেছে নেহা। অভিযোগ, তার প্ররোচনায় আত্মঘাতী হয় আমন।

আরো পোস্ট- নবরাত্রিতে করবেন না এই কাজ, মানা হয় অশুভ 

মৃত যুবক আমনের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বালি থানার পুলিশ সোমবার বিকেলে গ্রেফতার করে নেহাকে। মঙ্গলবার তাকে আদালতে তোলা হয়। বিচারক নেহাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

বালির তর্ক সিদ্ধান্ত লেনের বাদমতলার বাসিন্দা আমন সাউ কাপড় ব্যবসায়ী। তার সঙ্গে লিলুয়ার বাসিন্দা নেহার বিয়ে হয় গত বছর ১১ ডিসেম্বর। বিয়ের পর কিছুদিন ভাল কাটলেও পরে এদের সম্পর্কে চিড় ধরতে শুরু করে। আমন জানতে পারে নেহার সঙ্গে হুগলির উত্তরপাড়ার এক যুবকের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। এই নিয়ে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। অভিযোগ, সংসারে মন ছিলনা নেহার।

আমনের পরিবারের অভিযোগ মাঝে মধ্যেই পার্টি করে নেহা অনেক রাতে বাড়ি ফিরত। নেহার মোবাইলে প্রেমিকের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি পেয়ে যান আমন। গত ৮ এপ্রিল রাতে এনিয়ে অশান্তি চরমে ওঠে। নেহা মোবাইলে তার স্বামীর কথোপকথন রেকর্ড করতে থাকে। তখনই উত্তেজিত হয়ে নিজের গলায় ফাঁস লাগিয়ে দেয় আমন। আর সেই ঘটনা ক্যামেরাবন্দি হয় নেহার মোবাইলে। অভিযোগ, আমনকে বাঁচানোর চেষ্টা করেনি স্ত্রী নেহা। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই বাড়ি ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেন নেহা। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তার মোবাইল কেড়ে পুলিশকে জমা দেন।

বালি থানায় নেহার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন আমনের বাবা। পুলিশ সোমবার বিকেলে নেহাকে গ্রেফতার করে। তৃতীয় পক্ষ অর্থাত নেহার গোপন বন্ধু যুবকের বিষয়ে পুলিশ তথ্য সংগ্রহ করছে। এই মামলায় তার বয়ান জরুরি। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কারণে নেহার স্বামীর আত্মহত্যা নাকি প্ররোচনা দিয়ে পথের কাঁটা সরিয়ে দেওয়ার কৌশল সেটি তদন্তের অন্যতম দিক বলেই উঠে আসছে। ধৃত নেহার স্বীকারোক্তি আরও গুরুত্বপূর্ণ।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।