নয়াদিল্লি: করোনা সংক্রমণে লাগাম টানা যাচ্ছে না কিছুতেই। ক্রমশই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৬১ হাজারেরও বেশি মানুষ। সংক্রমণে লাগাম টানতে একাধিক রাজ্যে জারি হয়েছে নাইট কার্ফু। শোনা যাচ্ছে, সম্পূর্ণ লকডাউনের পথে হাঁটতে পারে মহারাষ্ট্র।

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৬১ হাজার ৭৩৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৮৭৯ জনের। এই নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ কোটি ৩৬ লক্ষ ৮৯ হাজার ৪৫৩ জন। মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৭১ হাজার ৫৮ জন। দেশে বর্তমানে অ্যাক্টিভ মামলার সংখ্যা ১২ লক্ষ ৬৪ হাজার ৬৯৮। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৭ হাজার ১৬৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। দেশে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ১ কোটি ২২ লক্ষ ৫৩ হাজার ৬৯৭ জন। করোনা রুখতে ইতিমধ্য়েই দেশজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া। এখনও পর্যন্ত ১০ কোটি ৮৫ লক্ষ ৩৩ হাজার ৮৫ জনকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে লাগামহীনভাবে বাড়ছে সংক্রমণ। করোনার এই নয়া গতি কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছে না। নাইট কারফিউ, আংশিক লকডাউন, যাবতীয় তৎপরতার পরেও প্রতিদিন সামনে আসছে দৈনিক সর্বোচ্চ সংক্রমণ। মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, কর্ণাটক সহ একাধিক রাজ্য়ে কোনও ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না সংক্রমণ। তাই সংক্রমণ রুখতে সম্পূর্ণ লকডাউন করার কথা ভাবছে মহারাষ্ট্র সরকার। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রী রাজেশ তোপে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, রাজ্যে লকডাউনের ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে ১৪ এপ্রিল সিদ্ধান্ত নেবেন।রাজ্যের করোনা টাস্কফোর্স ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, রাজ্যে ক্রমবর্ধমান করোনভাইরাস পরিস্থিতির রাশ টানতে লকডাউন একমাত্র ভরসা। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে মহারাষ্ট্রে কোভিডের বাড়বাড়ন্ত রুখতে লকডাউনই ভরসা হতে পারে৷ ইতিমধ্যেই নানা কঠোর করোনা বিধি জারি করা হয়েছে সে রাজ্যে। নাইট কার্ফু থেকে উইকেন্ড লকডাউন চলছে মহারাষ্ট্রে। তবে সূত্রের খবর উদ্ধব ঠাকরে ৮ দিনের সম্পূর্ণ লকডাউনের জন্য সায় দিয়েছিলেন। কিন্তু টাস্ক ফোর্সের কর্তারা জানান যে লকডাউন হলে তা ১৪ দিনের জন্য হওয়া উচিত।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।