কোন কোন সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ
স্পুটনিক ভি-এর স্রষ্টা গামালিয়া ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি এবং আরডিআইএফ ভারতে ট্রায়াল, নিয়ামক সংস্থার অনুমোদন ও ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য ডক্টর রেড্ডির ল্যাবোরেটরির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। ভারত ও রাশিয়ার সমন্বয়ে তৈরি এই ভ্যাকসিনের প্রথম ১০ কোটি ভারতের জন্য উৎপাদন করার অধিকার দেওয়া হয়েছে ডক্টর রেড্ডিকে। মার্চ থেকেই ভ্যাকসিন বিকাশকারীরা ভারতে ভ্যাকসিন ডোজ আরও উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে চলেছে। ডক্টর রেড্ডি ছাড়া চুক্তি হয়েছে গ্লান্ড ফার্মা, হেটোরো বায়ো ফার্মা, প্যানাসিয়া বায়োটেক, স্টেলিস বায়োফার্মা ও ভার্চো বায়েটেক। এই ফার্মাগুলির লক্ষ্য হল বছরে ৮৫ কোটির বেশি ডোজ উৎপাদন করা।
ভারত ৬০তম দেশ
মঙ্গলবার ভারতের ড্রাগ নিয়ামক সংস্থা দেশে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে স্পুটনিক ভি-এর জরুরি ব্যবহারের ওপর অনুমোদন দেয়। এক বিশেষজ্ঞ কমিটি জানিয়েছে যে এই ভাইরাস ব্যবহারের জন্য একেবারে প্রস্তুত। ভারত ৬০তম দেশ যেখানে স্পুটনিক ভি-কে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ডের কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন এই দু'টি ভ্যাকসিনকে আগেই ছাড়পত্র দেওয়া হয়ে গিয়েছে। ভারত ছাড়া ভেনেজুয়েলা, প্যারাগুয়ে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ইরান, মেক্সিকো, পাকিস্তান, বাহারিন, ইজিপ্ট, শ্রীলঙ্কা, ইরাক, ফিলিপাইনস, ক্যামেরুন ও মরিশাস সহ বেশ কিছু দেশে স্পুটনিক ভি-কে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
ভারতের প্রশংসায় আরডিআইএফ
আরডিআইএফের সিইও কিরিল ডিমিট্রিভ বলেন, ‘স্পুটনিক ভি-কে ছাড়পত্র দেওয়ার ভারতের এই পদক্ষেপকে আমরা সাধুবাদ জানাই। ভ্যাকসিন অনুমোদন বৃহৎ একটি মাইলফলক অতিক্রম করল কারণ রাশিয়া এবং ভারত স্পুটনিক ভি এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এবং এর স্থানীয় উৎপাদন নিয়ে ব্যাপক সহযোগিতা বিকাশ করছে।' তিনি আরও জানিয়েছেন যে ভ্যাকসিন উৎপাদনের আঁতুড় ঘর হল ভারত এবং আরডিআইএফ স্পুটনিক ভি-এর ডোজ উৎপাদন করার জন্য দেশের বিভিন্ন ফার্মা সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে, যারা ভারত তথা গোটা বিশ্বের জন্য ভ্যাকসিন ডোজ উৎপন্ন করবে।
স্পুটনিক ভি–এর কার্যকারিতা
বর্তমানে ভারতে স্পুটনিক ভি টিকা তৈরি করছে ডক্টর রেড্ডি'জ। তারা জানিয়েছে, মডার্না ও ফাইজারের পরে স্পুটনিক ভি টিকার কার্যকারিতা সবচেয়ে বেশি, ৯১.৬ শতাংশ। ভারতে জরুরি ভিত্তিতে এই টিকা ব্যবহারের অনুমতি পাওয়ার জন্য গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আবেদন করেছিল ডক্টর রেড্ডি'জ। বর্তমানে ভারতে এই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। ভারতে ১৮ থেকে ৯৯ বছর বয়সি প্রায় ১৬০০ জনের মধ্যে এই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে বলেই জানা গিয়েছে।