কলকাতা: নির্বাচনের আগে থেকেই খবরের শিরোনামে কয়লা কেলেঙ্কারি। এবার সেই কাণ্ডের জট খুলতে এবার আরও এক IPS অফিসারকে তলব করল সিবিআই। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাওকে মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। এর আগে এই কাণ্ডে বাঁকুড়া থানার আই.সি অশোক মিশ্রকে গ্রেফতার করে ই.ডি। এবার সরাসরি এসপি-কে তলব করা হল। জেলা পুলিশ সুপারকে সিবিআই হাজিরার নির্দেশ দেওয়া যথেষ্ট তাৎপর্য বলেই অনেকে মনে করছেন।
সূত্রের খবর, গত ২ বছর ধরে বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার থাকাকালীন কোটেশ্বর রাওয়ের কাছে কয়লা কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়েছিল। কিন্তু তিনি সেসব গ্রাহ্য করেননি বলে অভিযোগ। এই তথ্য পেয়ে সিবিআই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায়।
উল্লেখ্য, কয়লাকাণ্ডে বাঁকুড়ার আইসিকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। রাজ্য পুলিশের ওই আধিকারিকের মাধ্যমেই গত কয়েক বছরে কোটি-কোটি টাকা পাচার হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় সংস্থার। এর পরে আবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের SDPO। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেই তিনি হাজিরা দিয়েছিলেন। বেআইনি এই কারবারের সঙ্গে এরাজ্যেরই একাধিক প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তির যোগ রয়েছে বলে মনে করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
কিন্তু এই ইস্যুতে কেন্দ্রকে কদিন আগে তোপ দাগতে ছাড়েননি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে অভিষেক লেখেন, “সমস্ত কয়লা খনির দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার আর তা রক্ষা করার দায়িত্ব রয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির উপর। যদি বিজেপি নেতারা মনে করেন, কয়লা খনি থেকে তৃণমূল নেতারা বেআইনিভাবে টাকা পেয়েছেন, তাহলে যারা জাতীয় সম্পত্তি রক্ষা করতে ব্যর্থ হচ্ছেন কেন্দ্র তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছেন না কেন?”
এছাড়া কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “‘এটা অত্যন্ত হাস্যকর যে কয়লা মন্ত্রক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তাঁদের নিজেদের বস (পড়ুন মোদী-শাহ)-দের নির্দেশ না শুনে তৃণমূল নেতাদের কথা শুনছেন। তোমরা কাদেরকে বোকা বানাচ্ছ।” অর্থাৎ যদি কয়লা পাচার হয়েই থাকে, তবে সে দায় যে কেন্দ্রেরও রয়েছে সে কথাই বিজেপিকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.