নয়াদিল্লি: প্রতি বছর সারা বিশ্ব ১২ এপ্রিলকে ইন্টারন্যশনাল ডে অফ হিউম্যান স্পেস ফ্লাইট দিবস হিসেবে পালন করে। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদ বলছে, মহাকাশে মানব জাতির পৌঁছনোর সূচনার কথা স্মরণ করে ও মহাকাশ বিজ্ঞানের গুরুত্ব সাধারণ মানুষের মধ্যে বোঝাতে এই দিন পালন করা হয়।
১৯৬১ সালের ১২ এপ্রিল ইউরি গ্যাগারিনকে নিয়ে সারা বিশ্বে প্রথমবারের জন্য মহাকাশে উড়েছিল একটি মহাকাশযান। সেই প্রথম পৃথিবীর বাইরে মানুষের যাত্রা। একই সঙ্গে ইউরি গ্যাগারিন সর্বপ্রথম এমন মানুষ যিনি পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছান। এর আগে অবশ্য ১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর স্পুটনিক ১ মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে কোনও মানুষ ছিল না। মানুষ সহকারে প্রথম যাত্রা ইউরি গ্যাগারিনেরই। আর দিনটা ১২ অক্টোবর।
এর দুই বছর পরে অর্থাৎ ১৯৬১ সালে ইউরি গ্যাগারিনের যাত্রার দুই বছর পরে ১৯৬৩ তে আর পিছিয়ে রইল না মেয়েরাও। সার বিশ্বের মহিলাদের মধ্যে প্রথম মহিলা হিসেবে পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছান ভ্যালেন্তিনা তেরেস্কোভা। এরপর থেকে শুধু বিজ্ঞানীদের নিরলস পরিশ্রম ও মহাকাশে একের পর এক জয়যাত্রা।
১৯৬৯ সালে চাঁদের মাটিতে প্রথম পা দেন নীল আর্মেস্ট্রং। এরপর থেকে একের পর এক দেশ চাঁদে তাঁদের বিজয়পতাকা উড়িয়েছে। ভারতও মহাকাশ অভিযান করেছে বেশ কয়েকবার। এখন পৃথিবীবাসীর মূল আকর্ষণ হয়ে উঠেছে মঙ্গলগ্রহ। এক্র পর এক অরবিটার মঙ্গলে নেমে খোঁজ চালাচ্ছে প্রাণের। অথবা আদৌ প্রাণের অস্তিত্ব আগে ছিল কিনা তা বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনকি এলন মাস্কের মতো মানুষেরা এখনই স্বপ্ন দেখছেন মঙ্গলে বসতি স্থাপনের। উল্লেখ্য, সেই ১৯৫৭ সাল থেকেই পৃথিবীর বাইরের মহাকাশে খোঁজ ও আবিষ্কারকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে রাষ্ট্রসংঘ।
অন্যদিকে এই মুহূর্তে বিশ্ববাসীকে চমকে দিয়ে মঙ্গলের লাল মাটিতে প্রথমবার ওড়ার উদ্যোগ নিচ্ছে হেলিকপ্টার ইনজেনুইটি। ইতিমধ্যেই তার প্রাথমিক পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। নাসার তরফ থেকে শুক্রবার এই খবর জানিয়ে বলা হয় আগামী দুদিনের মধ্যে ওড়ার জন্য প্রস্তুত ইনজেনুইটি। মঙ্গলের ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩ মিটার বা ১০ ফুট পর্যন্ত উড়বে এই হেলিকপ্টার। ৩০ সেকেন্ড ধরে উড়বে এই কপ্টার। পারসেভেব়্যান্স রোভারের ছবিও তুলবে এটি।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.