
কেন এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন গোটা দেশ
যদিও এর জন্য সাধারণ মানুষের করোনা সচেতনতার অভাব, কোভিড বিধিকে তোয়াক্কা না করা সহ একাধিক ইস্যুকে কাঠগড়ায় তুলছেন এইমসের ডাইরেক্টর ডাঃ রণদীপ গুলেরিয়া। এদিকে গোটা দেশে করোনা হাসপাতালগুলির স্বাস্থ্য পরিকাঠানো নিয়েও বডসড় প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এমনকী ইতিমধ্যেই রোগীর সংখ্যার তুলনায় বেডের সঙ্কট দেখা দিয়েছে মহারাষ্ট্র সহ একাধিক রাজ্যে।যা নিয়েও প্রবল আলোড়ন দেখা দিয়েছে বিভিন্ন মহলে।
কী বলছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান
অন্যদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান যা বলছে তাতে গোটা দেশের ১০টি রাজ্য থেকেই মিলছে সর্বাধিক করোনা আক্রান্তের খোঁজ। যার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এছড়াও রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, ছত্তিসগড়, কর্ণাটক, কেরল, তামিলনাড়ু, মধ্য প্রদেশ, গুজরাট এবং রাজস্থান। এই ১০ রাজ্যের করোনা মোকাবিলার পদ্ধতি নিয়েও বর্তমানে প্রশ্ন তুলছেন ডাঃ রণদীপ গুলেরিয়া।
নতুন স্ট্রেনের হানাতেই এই বাড়াবাড়ন্ত
অন্যদিকে নতুন বছরের শুরু থেকই গোটা দেশে হানা দিতে শুরু করে করোনার নতুন স্ট্রেন। ব্রিটেনের পর দেখা মেলে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাণঘাতী করোনা স্ট্রেনেরয যা সাধারণ করোনা থেকে ৫০-৭০ শতাংশ বেশি সংক্রমক বলেও জানান বিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে দেশে এই নব স্ট্রেনগুলির বাড়বাড়ান্তের জেরেই দ্বিতীয় পর্বের করোনা সংক্রমণ দেখতে পাওয়া যায় বলে মনে করছেন ডাঃ রণদীপ গুলেরিয়া।
সঙ্কটমোচনের পথ কোথায় ?
তবে বর্তমান সঙ্কট থেকে উত্তরণের উপায় হিসাবে অবশ্যই করোনা বিধি যথাযথ পালনের উপরেই জোর দিচ্ছেন তিনি। এমনকী প্রয়োজনে আংশিক লকডাউন, নাইচ কার্ফু সহ সরকারের কঠোর অবস্থানের পক্ষেও সওয়াল করছেন তিনি। এদিকে করোনাকে বাগে আনতে বর্তমানে টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় গতি এনেছে কেন্দ্র। যদিও গোটা দেশে বর্তমানে এখনও পর্যন্ত করোনার কবলে পড়েছেন ১ কোটি ৩৫ লক্ষ ২৭ হাজারের বেশি মানুষ। যা গোটা পৃথিবীতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।