কলকাতা: আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার বাংলা জুড়ে পালিত হবে নীল ষষ্ঠী। শিবের পায়ে প্রতিটি বাঙালি গৃহবধূ সমর্পণ করবে সন্তানের নামে অঞ্জলী ও নৈবেদ্য। এইদিন মহাদেবের কাছে নিজের মনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন প্রত্যেক বিবাহিত ও অবিবাবিত মহিলারা ও গর্ভবতীরাও।
তবে যে কোনো পুজোর জন্যে থাকে নির্দিষ্ট উপাচার। তা মন দিয়ে ভালোভাবে পালন করলেই মনের শান্তি মিলবে। পুজোর দিন সারাদিন উপোস থাকতে হয়। তবে তারপর উপোস ভাঙতে হয় কিছু খেয়ে। সংক্রান্তির ঠিক আগের দিন উপোস করে সন্ধে নাগাদ পুজো দিতে হয় নীলকণ্ঠের কাছে। এইদিন শুদ্ধ মনে ভক্তিভাবের সঙ্গে নীলের উপোস মানতে হয় সন্তানের দীর্ঘায়ুর জন্যেই।
তবে সারাদিন উপোস থাকার পরে ঠিক মতো খাবার না খেলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে এটা মাথায় রাখবেন। অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। নীলের উপোসের পর কী খাওয়া যায় এই প্রশ্ন অনেকের মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে। যারা প্রথম ব্রত করছেন তারা অনেক কিছুই নাও জানতে পারেন। চিন্তা নেই, সেই সমাধান রইলো আপনাদের জন্যে।
১. ফলাহার: স্বাভাবিকভাবেই শরীরে এনার্জি থাকে উপোসের পর। এই কারণেই ফল খেয়ে উপোস ভাঙার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তরমুজ, আঙুর অথবা আপেলের মত ফল খেতে পারলে খুব ভালো। এগুলিতে জল থাকে বেশি। হজম হয় তাড়াতাড়ি। ফলের রস পান করতে পারেন। তবে লেবুর মতো সিট্রাস জাতীয় ফল এড়িয়ে চলবেন। এগুলিতে গ্য়াস-অম্বল হতে পারে।
২. বাদাম: কাঠবাদাম অর্থাৎ আমন্ড খেয়েও উপোস ভাঙতে পারেন। এতে যে উপকারী ফ্যাট উপস্থিত থাকে তা শরীরের গঠনে বিশেষ ভূমিকা নেয়। খিদেও অনেকটা নিবারণ করতে পারে।
৩. ডাবের জল: ইলেকট্রোলাইটস, খনিজ, ভিটামিন থাকায় ক্লান্তি দূর করে শরীরে পুষ্টির যোগান দেয় নিমেষেই। আবার জলের চাহিদাও পূরণ করে।
৪. মধু এবং লেবুর রস: উপোসের পরে এই পানীয় পান করলে তা শরীরের যাবতীয় টক্সিক উপাদানগুলি দূর করে দিতে পারে। জলের ঘাটতিও মিটবে আবার লিভারও থাকবে ভালো।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.