বাহিনী হাঁটছে কমিশনের দেখানো পথেই, মমতার ষড়যন্ত্রের তত্ত্বে জল ঢাললেন সিআরপিএফ প্রধান

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে চলছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। নির্বাচননী জনসভায় বারংবারই এই অভিযোগ করে এসেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মমতার সেই দাবিকে নস্যাৎ করলেন সিআরপিএফ-এর ডিজি জেনারেল কুলদীপ সিং স্বয়ং। এর আগে শীতলকুচির ঘটনায় মমতা কেন্দ্রের বিজেপিকে তোপ দেগে এসেছেন প্রথম থেকে। ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব খাড়া করে অমিত শাহের পদত্যাগও চেয়েছেন মমতা। সেই প্রেক্ষিতেই এবার মুখ খুললেন সিআরপিএফ-এর ডিজি।

'কমিশনের দেখানো পথে হাঁটছে বাহিনী'

এদিন সিআরপিএফ প্রধান বলেন, 'বর্তমানে সকল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে কাজ করছে। আমি কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের নাম জানি না। তবে আমি এটা গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি যে নির্বাচন কমিশন বাদে আর কারোর কথাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী চলছে না।'

পঞ্চম দফায় ১০৭১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে

এদিকে আগামী ১৭ এপ্রিল রাজ্যের ৬ জেলার ৪৫টি বিধানসভা আসনে ভোট গ্রহণ হবে। পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ পর্বের জন্য পশ্চিমবঙ্গে থাকতে চলেছে ১০৭১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এর মধ্যে ৮৫৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটের কাজে ব্যবহৃত হবে বলে জানা গিয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে।

মোট সেক্টর অফিস থাকছে ৬৯০টি

পঞ্চম দফায় রাজ্যে মোট বুথের সংখ্যা ১৫,৭৮৯ টি৷ মোট বুথ প্রাঙ্গণ রয়েছে ৭,৯০৪টি৷ ওই দফায় মোট সেক্টর অফিস থাকছে ৬৯০টি৷ প্রত্যেক সেক্টর অফিসে একজন করে এএসআই অথবা এসআই থাকবেন৷ আর তাঁদের সঙ্গে থাকবেন চারজন করে কনস্টেবল৷

কোথায় থাকবে কত বাহিনী?

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসতে পুলিশ ডিস্ট্রিক্টে ৬৯ কোম্পানি, ব্যারাকপুর পুলিশ ডিস্ট্রিক্টে ৬১ কোম্পানি, বসিরহাট পুলিশ ডিস্ট্রিক্টে ১০৭ কোম্পানি, বিধাননগর পুলিশ ডিস্ট্রিক্টে ৪৬ কোম্পানি, দার্জিলিং-এ ৬৮ কোম্পানি, জলপাইগুড়িতে ১২২ কোম্পানি, কালিম্পঙে ২১ কোম্পানি, কৃষ্ণনগর পুলিশ ডিস্ট্রিক্টে ১১ কোম্পানি, পূর্ব বর্ধমানে ১৫৫ কোম্পানি, রাণাঘাট পুলিশ ডিস্ট্রিক্টে ১৪০ কোম্পানি ও শিলিগুড়িতে ৫৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে।