কলকাতা : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০ অঙ্গিকার করেছিলেন তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারে। কংগ্রেস তাঁদের ইশতেহার বহু দিন আগেই প্রকাশ করেছে। এবার একটি মিউজিক ভিডিওর মাধ্যমে তারা তাঁদের আট অঙ্গিকারের কথা জানিয়েছে। এতদিন প্রত্যেকটি দল তাঁদের গান অথবা একের পর এক মিউজিক ভিডিও করলেও কংগ্রেস এই ধরনের প্রচার থেকে অনেক দূরেই ছিল। শেষ পর্যন্ত একটা এমন ভিডিও বানালো তারা, যার মাধ্যমে মানুষের কাছে তাঁদের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করল।

তাঁদের অঙ্গিকারের মধ্যে রয়েছে প্রান্তিক মানুষদের উন্নয়ন, দেওয়া হবে মাসিক ভরতুকি, মহিলাদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে, গরীব-দলিত আদিবাসীদের নিতাপত্তা ও উন্নয়নে বিশেষ নজর, কম খরচে বিদ্যুৎ পাবে কৃষকরা, এসএসসি টেট হবে প্রত্যেক বছর, শিক্ষায় জোর দেওয়া হবে, শিল্পে জোর দেওয়া হবে, এর হাতে ধরেই হবে বহু মানুষের চাকরি। পরিযায়ীদের কষ্ট লাঘব ও খাদ্যের ব্যবস্থা করবে কংগ্রেস।

তৃণমূলের মূল ফোকাসে ছিল বাংলার অর্থনীতি,খাদ্য সুরক্ষা,শিল্প,কৃষি,শিক্ষা,স্বাস্থ্য,বাসস্থান,বেকারত্ব,যুব সম্প্রদায়ের উন্নয়ন এবং সামাজিক ন্যায় ও সুরক্ষার মতো বিষয়গুলি। এর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয়টি ছিল, প্রতি মাসে রাজ্যের ‘দেড় কোটি পরিবারের দুয়ারে রেশন সরবরাহ’ করার অঙ্গীকার। এছাড়াও, তৃণমূলের পক্ষে অঙ্গীকার করা হয়েছে,বাংলার শহরাঞ্চলে মোট ২৫০টি মা ক্যান্টিন নির্মাণ। যেখানে ৫ টাকায় খাবার মিলবে। শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধি। প্রত্যেক ব্লকে ১টি করে মডেল আবাসিক স্কুল। প্রত্যেক জেলা সদরে মেডিক্যাল কলেজ নির্মাণ। শিল্পের ক্ষেত্রে ৫ বছরে ৫ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা। বার্ষিক ৫ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা। বাংলার যুব সম্প্রদায়কে স্বাবলম্বী করতে স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড। সুখী কৃষক ও কৃষক বন্ধু প্রকল্পে ৬৮ লক্ষ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে সাহায্য। কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে একর পিছু বার্ষিক ১০ হাজার টাকা সহায়তা। এই প্রথম, বাংলায় প্রতি পরিবারের ন্যূনতম মাসিক আয় নিশ্চিত করতে প্রকল্প। ১ কোটি ৬০ লক্ষ যোগ্য পরিবারকে ৫০০ টাকা করে সাহায্য। পরিবারপিছু বার্ষিক ৬ হাজার টাকা। ৪৭ লক্ষ পরিবারকে নলযুক্ত পানীয় জল।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।