নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার ১৩ এপ্রিল অবসর নিচ্ছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। তাঁর জায়গায় নতুন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হচ্ছেন সুশীল চন্দ্র। পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট চলাকালীনই অবসর নিচ্ছেন অরোরা। মুখ্য নিরিবাচন কমিশনার পদে ৬ বছর কাজ করেছেন অরোরা। এবার রাজ্যে বিধানসভা ভোটের মাঝেই তাঁর চাকরির মেয়াদ শেষ। নির্বাচন চলাকালীন মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে অবসর সম্ভবত এই প্রথম।
মাসখানেক আগে তিনিই পাঁচ রাজ্যের নির্বানের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেন। সুনীল অরোরার ঘনিষ্ঠ মহলে কান পাতলেই শোনা যায় তাঁর রসবোধের কথা। বেশ রসিক মানুষ তিনি। সাংবাদিকদের সঙ্গে নানা সময় তাঁকে মজার-মজার কথা বলতেও শোনা গিয়েছে। গোটা দেশের নির্বাচন পরিচালনার ভার দক্ষ হাতে সামলেছেন বছরের পর বছর ধরে। বিতর্ক তৈরি হলেও তাতে দমেননি সুনীল অরোরা। কর্তব্য অবিচল থেকে দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন। করোনাকালে দেশে নির্বাচন পরিচালনা করা ছিল মস্ত একটা চ্যালেঞ্জ। বিহারেই করোনাকালে প্রথম ভোট হয়েছে। দক্ষতার সঙ্গে বিহার নির্বাচন পরিচালনা করেছেন দুঁদে এই সরকারি কর্তা। বারবার গিয়েছেন বিহারে। সংক্রমণ এড়িয়ে কীভাবে ভোট পরিচালনা করা যায়, সেব্যাপারে নিয়মিত কথা বলেছেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে।
বিহারের পর পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন শুরু হয়। পশ্চিমবঙ্গে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনা করা প্রথম থেকেই মস্ত চ্যালেঞ্জ ছিল সুনীল অরোরার কাছে। বাংলার নির্বাচন আট দফায় করছে কমিশন। সুনীল অরোরাই এব্যাপারে ডেপুটিদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যা নিয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সমালোচনায় সরব হয়েছে। ২৩৪ আসনের তামিলনাড়ুতেও এক দফায় বিধানসভা ভোট হয়েছে। কিন্তু ২৯৪ আসনের বাংলায় আট দফায় নির্বাচন ঘিরে কমিশনের উপর বেজায় চটে যায় তৃণমূল।
পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশের পরই প্রকাশ্যে আসে সুনীল অরোরার অবসর নেওয়ার কথা। অবশেষে মঙ্গলবার ১৩ এপ্রিল মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব থেকে বিদায় নেবেন এই প্রবীণ কমিশনার। তাঁর জায়গায় নতুন কমিশনার হচ্ছেন সুশীল চন্দ্র। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ৬ বছরের কার্যকালের মেয়াদ আজই শেষ সুনীল অরোরার।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.