প্রথম সন্তান সবার কাছে খুব স্পেশাল। তবে বাবাদের কাছে প্রথম সন্তান যেনো অনেটা আনন্দ এবং খানিকটা ভয়ের একটা যৌথ অনুভূতি। ভয়ের কারণ একটায়, আর সেটা হল একজন ভালো বাবা হবার যথার্থ প্রস্তুতি নেওয়া। অনেক চেষ্টা করলেও সম্পূর্ণ প্রস্তুতি কী আদৌ হয়ে ওঠে শেষ অবদি? তবে আপনি যদি ছোট্ট সন্তানের জন্মের অপেক্ষায় থাকেন তবে আমাদের কাছে আপনার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ রয়েছে।
প্রথম বার বাবা হওয়ার বিষয়টা জীবনের একটি আকর্ষণীয় পর্ব তবে এটি একটি জীবন পরিবর্তনের অভিজ্ঞতাও হয়ে ওঠে। বাচ্চার কথার পাশাপাশি স্ত্রীর স্বাস্থ্য সম্পর্কে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে পিতারা। বর্তমান সময়ে মায়েদের পাশাপাশি বাচ্চাদের খেয়াল রাখার বিষয়ে পিতারাও তাদের ভূমিকা সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠেছে। আর প্রথমবারের মতো বাবা হওয়ার জন্য এখানে কয়েকটি সহায়ক টিপস রয়েছে আপনাদের জন্য।
স্ত্রী খেয়াল রাখা: গর্ভাবস্থায় স্ত্রীদের ভালোবাসা এবং যত্নের প্রয়োজন দরকার হয়। অতএব, যখন তার আপনাকে প্রয়োজন হবে তখন তার জন্য উপলব্ধ থাকুন। তার পুষ্টির যত্ন নিন, তাকে প্রতিদিনের কাজে সহায়তা করুন, পরিবারের দায়িত্বগুলি ভাগ করুন, তার ওষুধের সাহায্য করুন, নিয়মিত ফলোআপের জন্য তাকে নিয়ে যান এবং যদি আপনি তার শরীরে কোনও পরিবর্তন ঘটতে দেখেন তবে তৎক্ষণাৎ ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করুন। তাকে জড়িয়ে ধরে আশ্বাস দিন সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যাবার। স্ত্রীর সঙ্গে কিছু মানের সময় কাটানোর দরকার এই পর্বে।
প্রসবপূর্ব ক্লাসে যোগদান: এই সময় গুলিতে প্রসবকালীন ক্লাসে যোগ দেওয়া উচিৎ। কারণ এই ক্লাসগুলিতে আপনি সঠিক ধরণের ডায়েট, ফিটনেস রুটিন, ডেলিভারি, শিশুর যত্ন নেওয়ার বিষয়ে জানতে পারবেন এবং আপনার মনের মধ্যে থাকা সমস্ত সন্দেহগুলি পরিষ্কার করতে পারবেন।
স্ত্রীর যত্ন নেওয়া: গর্ভাবস্থার সময়ে মেয়েরা ক্লান্ত হয়ে পড়ে যার ফলে তাদের বিশ্রাম নেওয়ার দরকার। বাগান, চিত্রকলা, রান্না করা বা কোনও সরঞ্জাম বাজানোর মতো কাজ গুলি করতে চাইলে তাদের তা করতে দেওয়া উচিৎ। তার সঙ্গে মন ভালো রাখার জন্য বেড়াতে যাওয়া বা একসঙ্গে একটি রোমান্টিক সিনেমা দেখা উচিৎ।
রাতের শিফটে প্রস্তুতি নেওয়া: সন্তানের জন্মের পরে, রাতে আপনার স্ত্রীর সঙ্গে জেগে সন্তানের খেয়াল রাখুন। বাচ্চার ন্যাপিজ পরিবর্তন করা, বাচ্চাকে খাওয়ানো, বা শিশুকে রক করতে সহায়তা করুন স্ত্রীর সঙ্গে। এই সমস্ত কিছুর জন্য মানষিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। সর্বোপরি, এটি একজন পিতার দায়িত্বও।
Tag-
Attachments area
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.