রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ, ফের একবার মামলা গড়াল সুপ্রিমকোর্টে

রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ ফের সুপ্রিম কোর্ট একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হল৷ তবে, মামলাটি ২ সপ্তাহ পরে শোনা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে৷ প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের রাফাল চুক্তিতে ভারত সরকার এবং ফ্রান্সের সামরিক বিমান সংস্থা দাসোঁর মাঝে কোনও তৃতীয় পক্ষ ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে৷ যাদের দাসোঁ-র তরফে প্রায় ১ মিলিয়ন ইউরো দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷

সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা

এদিন সেই অভিযোগেই সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়৷ কিন্তু মামলাকারীর আইনজীবী তাঁর এই মামলাটি তালিকাভুক্ত করার জন্য আবেদন করলে, প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি দুই সপ্তাহ পর শোনা হবে বলে জানিয়েছে৷

মধ্যস্থতার দাম হিসেবে ১.১ মিলিয়ন ইউরো দেয় দাসোঁ

প্রসঙ্গত, এক ফরাসি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সে দেশের দুর্নীতি দমন শাখার তদন্তে রাফাল চুক্তিতে মিডলম্যানের বিষয়টি জানা গিয়েছে৷ অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সংস্থা ডেফসেস সলিউশনকে মধ্যস্থতার দাম হিসেবে ১.১ মিলিয়ন ইউরো দিয়েছে দাসোঁ এভিয়েশন৷ বদলে দাসোঁকে ৫০টি যুদ্ধবিমানের মডেল উপহার স্বরূপ দিয়েছে ওই সংস্থা৷

দুর্নীতির বিষয়টি প্রথম নজরে আসে ফ্রান্সের দুর্নীতিদমন গোয়েন্দা সংস্থার

মিডিয়াপার্ট-এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, টাকা লেনদেনে দুর্নীতির বিষয়টি প্রথম নজরে আসে ফ্রান্সের দুর্নীতিদমন গোয়েন্দা সংস্থার৷ দাসোঁর অডিট চলাকালীন ধরা পড়ে গরমিল৷ কিন্তু এনিয়ে মামলার পথে যেতে নারাজ আফা কর্তৃপক্ষ৷ ফরাসি দুর্নীতিদমন গোয়েন্দা সংস্থার হাতে আসা তথ্য বলছে, রাফালের ৫০টি রেপ্লিকা তৈরির জন্য ১০ লক্ষ ১৭ হাজার ৮৫০ ইউরোর বরাত দেওয়া হয়েছিল৷ প্রসঙ্গত, রাফালের এক-একটি রেপ্লিকা তৈরির খরচ ধরা হয়েছিল ২০ হাজার ইউরোরও বেশি৷ ফরাসি নিউজ পোর্টাল মিডিয়াপার্ট-এর দাবি, ক্লায়েন্টদের উপহার বাবদ দাসোঁ কত টাকা খরচ করছে, আইন মাফিক তা প্রকাশ্যে আনতে বাধ্য নয় তারা৷

সুশেন গুপ্তার বিরুদ্ধে আগের থেকেই দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে

প্রসঙ্গত, এই ডেফসেস সলিউশনের কর্ণধার সুশেন গুপ্তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে অগাস্টা-ওয়েস্টল্যান্ড হেলিকপ্টার দুর্নীতির তদন্ত জারি রয়েছে৷ সেই মামলায় এর আগে সুশেন গুপ্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং পরবর্তী সময়ে জামিনে মুক্তি পান৷ যদিও দাসোঁ এভিয়েশনের সাবকন্ট্রাক্টর হিসেবে পরিচিত ডেফসেস সলিউশন দুর্নীতির এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷