স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: নির্বাচনী প্রচারে ২৪ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার গাঁধী মূর্তির নীচে ধরণাতে বসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সুপ্রিমোর এই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু৷ তিনি বললেন, “২তারিখের পর থেকে ওনাকে (পড়ুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) ধরণাতেই বসতে হবে৷ এখন থেকে প্র্যাকটিস করুন৷ ওনার সাংবিধানিক অধিকার আছে৷ আমাদের কোনও আপত্তি নেই৷”
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী প্রচারে ২৪ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার রাতে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তারা৷ কমিশন জানিয়েছে, সোমবার রাত ৮টা থেকে মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত কোনও রকমের নির্বাচনী প্রচার করতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিশনের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্ররোচনামূলক বক্তৃতার অভিযোগে মমতাকে পাঠানো নোটিশের জবাবে তারা সন্তুষ্ঠ নয়। সে কারণেই এই নিষেধাজ্ঞা৷
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বারাসত, বিধাননগর, হরিণঘাটা ও কৃষ্ণগঞ্জে মুখ্যমন্ত্রীর সভা করার কথা ছিল।কিন্তু সেই সভা তাঁর বাতিল হল৷ কমিশনের এই নিষেধাজ্ঞার কড়া সমালোচনা করেছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘পক্ষপাতদুষ্ট কমিশন বিজেপি-র শাখা সংগঠন। ইভিএমে এর জবাব দেবে মানুষ।’’ দলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, “১২ তারিখ গণতন্ত্রের কালো দিন।”
এপ্রসঙ্গে সায়ন্তন বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মানা উচিত৷ মুসলমানদের একসঙ্গে তৃণমূলকে ভোট দিয়ে বিজেপিকে হারাতে হবে৷ এটা বেআইনি৷ এটা উনি বলতে পারেন না৷ আর উনি যে স্ক্রিপ্ট তৈরি করেছিলেন, তাতেই শীতলকুচির ঘটনা ঘেটেছে৷ এর দায় ওনাকেই নিতে হবে৷”
প্রসঙ্গত, গত ৩ এপ্রিল নির্বাচনী সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সংখ্যালঘু ভাইবোনদের কাছে হাত জোড় করে বলছি, বিজেপির কাছ থেকে যে শয়তানরা টাকা নিয়েছে, তাদের কথা শুনে সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করবেন না। মমতার মন্তব্যের জেরে নির্বাচন কমিশনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভির নেতৃত্বে অভিযোগ জানায় প্রতিনিধি দল। তার জেরে তৃণমূল সুপ্রিমোকে নোটিশ পাঠায় কমিশন। এই প্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জবাব সন্তোষজনক নয় বলে জানাল কমিশন। নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগে গত শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে দ্বিতীয়বার নোটিশ পাঠায় কমিশন। কেন গত ২৮ মার্চ এবং ৭ এপ্রিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অপ্রীতিকর মন্তব্য করেছিলেন তিনি তা জানতে চাওয়া হয় ওই নোটিশে। এই প্রসঙ্গে মমতা বলেছিলেন, ‘একটা কেন ১০টা নোটিশ পাঠাতে পারেন আমাকে।’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.