কলকাতা: কোচবিহারের শীতলকুচির সফর বাতিল হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। শনিবার চতুর্থ দফার নির্বাচনে শীতলকুচির একটি বুথে চলে গুলি। গুলি চালানোর অভিযোগ ওটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর।

কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ৭২ ঘণ্টা শীতলকুচিতে ঢুকতে পারবে না কোনও রাজনৈতিক দল। ফলে বাতিল করতে হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সফর। যদিও কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে একেবারেই ভালো চোখে দেখেনি তৃণমূল কংগ্রেস। দলের তরফে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালের মৃত্যুর ঘটনায় আঘাত পেয়েছেন। তাই শীতলকুচি যেতে চেয়েছিলেন। সৌগত রায় জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীকে শীতলকুচিতে ঢুকতে বাধা দেওয়ার জন্যই এমন নির্দেশ জারি করেছে কমিশন। তৃণমূলের এই প্রতিক্রিয়ার পর বিজেপির তরফেও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। তাদের তরফে বলা হয়েছে, দেশের গণতন্ত্রের প্রতিই তৃণমূল কংগ্রেসের আস্থা নেই। তাই এমন কথা বলছে তারা।

তৃণমূল নেত্রী শনিবার বনগাঁর জনসভা থেকে জানান, শীতলকুচির যে বুথে গুলি চলেছে, সেখানে রবিবার যাবেন তিনি। সকাল দশটায় ওই বুথে যাবেন মমতা বলে ছিল খবর। কিন্তু রবিবার জানা যায়, শীতলকুচি যেতে পারবেন না তিনি। মমতার অভিযোগ এই ঘটনা ঘটিয়েছে সিআরপিএফ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করেন মমতা। রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত নেতা ও কর্মীরা দুপুর দুটো থেকে চারটে পর্যন্ত হাতে কালো ব্যাজ পরে অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি জানিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ করবেন।

শীতলকুচির ঘটনায় অমিত শাহের বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানান তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এক ট্যুইট বার্তায় সরাসরি এই ঘটনার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দায়ী করলেন অভিষেক। শনিবার ট্যুইট করে অভিষেক বলেন এই সোনার বাংলার স্বপ্নই কি দেখাতে চলেছেন অমিত শাহরা? অভিষেক শনিবার বলেন শীতলকুচিতে চারজনের মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। কোনও ভাবেই এই ধরণের হিংসা মেনে নেওয়া যায় না। সোনার বাংলা গঠন করার দাবি করছেন মোদী অমিত শাহরা। তাহলে কি এই সোনার বাংলার স্বপ্নই তাঁরা দেখছেন?

এদিকে চতুর্থ দফার নির্বাচনে অশান্তির পরদিনও থমথমে পরিস্থিতি শীতলকুচিতে। এর মধ্যেই বেলাকোবায় উদ্ধার হল তাজা বোমা। গতকাল রাতেও চলে বোমাবাজি। সকালে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশষ বোমা উদ্ধারের পর বেড়ে যায় উত্তেজনা। অবরোধ হয় রাজ্য সড়ক। পরিস্থিতি সামলাতে এলাকায় মোতায়েন হয় ব়্যাফ ও পুলিশ।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।