স্টাফ রিপোর্টার, জলপাইগুড়ি: ‘কী মা বোনেরা একটু হাতা-খুন্তি নিয়ে খেলা হবে নাকি? ভোটপ্রচারে গিয়ে একাধিক সভায় জনতার উদ্দেশ্যে এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তৃতীয় দফার নির্বাচনের দিন শীতলকুচির সভাতেও তাঁর মুখে শোনা গিয়েছিল সেই কথা৷  কিন্তু রবিবার জলপাইগুড়ির নাগরাকাটার সভায় মা-বোনেদের আর এমন প্রশ্ন করলেন না মমতা৷ উল্টে বললেন, ‘মা-বোনেরা হাতা-খুন্তি নিয়ে রান্না করুন, ভোটটা তৃণমূলে দিন৷’

খানাকুল ও আরামবাদে দলীয় প্রার্থীদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার সমালোচনা করে সরাসরি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের দিকে আঙুল তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বলেছিলেন, দেখলেই ঘেরাও করে রাখতে। শীতলকুচির গুলিকাণ্ডে চারজনের মৃত্যুর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করছে গেরুয়া শিবির৷ তাদের দাবি, মমতার উস্কানিতেই এই ঘটনা ঘটেছে৷ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের মৃত্যুর জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়। তিনিই মানুষকে খেপিয়েছেন। তিনি মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন, সেন্ট্রাল ফোর্সকে ঘিরে ইভিএম আটকাতে।’ রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বিজেপি যেভাবে মমতার এই মন্তব্যগুলিকে ইস্যু করে তাঁকেই বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছেন তাতে ভোটের মধ্যে তৃণমূল চাপে পড়তে পারে৷ তাই এদিন খানিক সাবধানী রইলেন তৃণমূল সুপ্রিমো৷

তিন দফাতেই রাজ্যে বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনার ঘটেছে৷ কিন্তু  শনিবার সেই অশান্তিকেও ছাপিয়ে গিয়েছে কোচবিহারের শীতলকুচির গুলি-কাণ্ড। শীতলকুচির জোড়পাটকি এলাকায় ১২৬ নম্বর বুথে সিআইএসএফ-এর গুলিতে একসঙ্গে ৪ জনের নিহত হন। এই ঘটনা ঘিরে দিনভর তৃণমূল- বিজেপির মধ্যে চাপানউতর চলে।

শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নাম করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবিলম্বে ইস্তফা দেওয়া উচিত। ওরা বলছে আত্মরক্ষার্থে গুলি চালানো হয়েছে। মিথ্যে কথা। আসলে রাজনৈতিক নির্দেশেই এ সব চলছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় যে চক্রান্ত চলছে তা প্রমাণ হয়ে গেল।’’

এদিকে, এদিন বাংলায় এসে শীতলকুচির ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ তিনি বলেন, “একটি বুথে চারজনের মৃত্যু হয়েছে৷ বাহিনীর উপর হামলা করে অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজন৷ অস্ত্র লুঠের চেষ্টা করা হয়েছিল৷ আত্মরক্ষা ও অস্ত্র বাঁচাতেই গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ ওই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি হয়েছে৷ তবে সব মৃত্যুই দুঃখজনক৷” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে তিনি বলেছেন, “আনন্দ বর্মনের মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানাননি মমতা৷কারণ আনন্দ বর্মা রাজবংশী সমাজের৷”

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।