কলকাতা: ঘড়ির কাঁটার থেকেও স্পিডে নিত্যনৈমিত্তিক যাঁর সেডিউল দৌড়য় সেকি বেশিদিন ঘরে বসে থাকতে পারে। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বাংলা চলচ্চিত্র জগতের ‘রাণী’ তিনি। ‘এজ ইজ জাস্ট আ নাম্বার’, এই উক্তিটি তিনি বারংবার প্রমাণ করেছেন তাঁর কাজ দিয়ে। বয়স তাঁকে দমিয়ে রাখতে পারেনি তাই তিনি এভারগ্রীন। সব ধরনের চরিত্রেই তিনি তাঁর দক্ষতা প্রমাণ করেছেন।

এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন আমরা কথা বলছি অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর। করোনা আক্রান্ত হয়ে সিঙ্গাপুরে রিকভারি সেন্টারে তাঁকে থাকতে হয়েছিল বেশ কয়েকটা দিন। আপাতত সিঙ্গাপুরে থাকলেও সুস্থ হয়েই পুরোদস্তুর কাজে মন দিয়েছেন তিনি।

এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হবে পরিচালক বীণা বক্সীর আসন্ন ছবি ‘ইওর’ এর শুটিং। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর বিপরীতে অভিনয় করবেন দীপক তিজোরি। এছাড়াও নির্মল চক্রবর্তী পরিচালিত ‘দত্তা’র শুটিং কিছুটা বাকি। আর তাছাড়া শুটিং বাকি আছে সানি রায় এর ‘সল্ট’, রঞ্জন ঘোষের ‘মহিষাসুরমর্দিনী’, কবীর লালের ‘অন্তর্দৃষ্টি’, অতনু বোসের ‘অচেনা উত্তম’ । প্রসঙ্গত অন্তর্দৃষ্টি ছবিতে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সাথে স্ক্রিন শেয়ার করবেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা শন ব্যানার্জি, এবং অচেনা উত্তম ছবিতে মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের ভূমিকায় দেখা যাবে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। অন্যদিকে মুক্তির অপেক্ষায় প্রহর গুনছে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিতা রায়ের ছবি ‘বেলা শুরু’ এবং অরিন্দম শীলের ‘মায়াকুমারী’।

আবার অন্যদিকে এপ্রিল মাসেই বিরাট বড় চমক অপেক্ষা করে আছে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের ভক্তকুলের জন্য। কারণ পর্দায় আসছে অনুরাগ কাশ্যপ এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত জুটি। তবে দুই রাঘব বোয়ালের এই ছবি নিয়ে রোমান্টিক গল্প হবে না তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পরিচালক হরি বিশ্বনাথের ছবি বাঁশুরী মুক্তি পাবে হিন্দিতে। অনেকদিন পর আবার বলিউডে ঋতুপর্ণা। ছবির ভাবনায় ফুটে উঠেছে, শিশুমন,এক মায়ের বলা মিথ্যে এবং স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব তবুও আশা-ভরসা এবং ভালোবাসার ছোঁয়া। ছবিটি মুক্তি পাবে এই 16 এপ্রিল।
এ কথা বলার অপেক্ষা রাখেনা এ বছরটা অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর কাছে বেশ ব্যস্ত যেতে চলেছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।