মমতার সুরে সুর মেলালেন অধীর! নির্বাচন কমিশন নিয়ে তোপ বিজেপির দিকেই

নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরে সুর মেলালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন ইসির নাম বদলে হোন ইএমসি। অর্থাৎ মোদী কোড অফ কন্ডাক্ট। আর অধীর নির্বাচন কমিশনকে আখ্যায়িত করলেন বিজেপির কমিশন নামে। সাফ জানালেন কমিশন ব্যস্ত।

নিজেদের পক্ষপাত দুষ্ট করে ফেলেছে কমিশন

কলকাতার চৌরঙ্গী বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠকের সমর্থনে প্রচারে এসে অধীর চৌধুরী শীতলকুচির ঘটনায় কাঠগড়ায় তুললেন নির্বাচন কমিশনকে। সোজাসুজি শুনিয়ে দিলেন কমিশনের উপর আস্থা নেই বাংলার মানুষের। নির্বাচন কমিশন শোচনীয় ব্যর্থ। নিজেদের পক্ষপাত দুষ্ট করে ফেলেছে কমিশন।

নির্বাচন কমিশনকে বিজেপির কমিশন বললেন অধীর

অধীর চৌধুরী এই ঘটনায় তোপ দাগেন বিজেপির দিকেও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতোই তিনি বলেন, বাংলার মানুষ এই নির্বাচন কমিশনকে বিজেপির কমিশন বলে মনে করে। নির্বাচন কমিশন যে বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে চলছে, তা বুঝতে বাকি নেই বাংলার মানুষের। অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশনের উচিত সঠিক ও নিরপেক্ষ পদক্ষেপ নেওয়া।

এমন সিদ্ধান্ত নিক কমিশন, যা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকতে পারে

অধীর বলেন, আমি চাই নির্বাচন কমিশন শীতলকুচির ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে যাদের কারণে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের অবিলম্বে শাস্তির দাবি করলেন অধীর চৌধুরী। শীতলকুচির ঘটনায় নির্বাচন কমিশন শোচনীয় ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এবার এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত যা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকতে পারে।

মমতার পর অধীরও সামিল কমিশনের সমালোচনায়

অধীরের বলেন, যারা গুলি চালিয়েছে, নির্বাচন কমিশন তাদের ভাষায় কথা বলছে। এরপর কমিশন আর কমিশন থাকবে না। কমিশনের প্রতি মানুষের আস্থা ভেঙে গিয়েছে। সাধারণ মানুষও বুঝতে পারছে কমিশনের ভূমিকা। এতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূল একা সমালোচনা করে আসছিল। এবার সমালোচনায় সামিল হলেন অধীর চৌধুরীও। কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব এখনও নীরব।