কলকাতা : গোটা শহরেই ঠাঁই নেই ঠাঁই নেই। চরম সমস্যায় কলকাতা শহরের করোনা রোগিরা। কারণ শহরের সরকারি হোক বা বেসরকারি, কোথাও বেড নেই রোগিদের জন্য়। বিশেষ করে বেডের অপ্রতুলতার সংকটে ভুগছে বেসরকারি হাসপাতালগুলি। বেড সংকটে ভুগছে কলকাতার সরকারি একাধিক হাসপাতাল।

বেলেঘাটা আই ডি, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মতো হাসপাতাল করোনা রোগি ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে, শুধুমাত্র বেডের অপ্রতুলতার জন্য। তথৈবচ দশা শহরের বেসরকারি হাসপাতালগুলির। মুকুন্দপুর আমরি, কোঠারির মতো বড় বড় হাসপাতালেও বেড নেই করোনা ওয়ার্ডে। ফলে সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে।

এদিকে, দৈনিক সংক্রমণে রেকর্ড করেছে কলকাতা। প্রতিদিন যে হারে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে আতঙ্ক আরও বাড়ছে। রোগির সংখ্যা বাড়লেও বেডের সংখ্যা একই জায়গায়। তাই শহরের সর্বত্র খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে রোগির পরিবারকে। ২৪ ঘন্টায় কলকাতা মৃত্যু হয়েছে ৩জনের। পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ জানাচ্ছে শহরে প্রতি দশ জনের মধ্যে একজন করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন এখন। দৈনিক সংক্রমণের হার ৮.৩১ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১০.১০ শতাংশ।

নির্বাচনের কাজের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীও সংখ্যায় বেশ কম। ফলে পরিষেবা সংকটের মুখে। কলকাতার পাশাপাশি করোনা চোখ রাঙাচ্ছে উত্তর ২৪ পরগণাতেও। ভোটের বাংলায় সংক্রমণ লাগামছাড়া। গোটা দেশ বিধ্বস্ত করোনার সেকেন্ড ওয়েভে। রাজ্যে-রাজ্যে লাগামছাড়া সংক্রমণ।

এবার বাংলাতেও বিপজ্জনক আকার নিতে শুরু করেছে করোনার সংক্রমণ। শহর কলকাতায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে। ঠিক তার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু কলকাতা শহরেই ৯৯৭ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগণায় একদিনে করোনায় কাবু ৮৮৭।

ভোটকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে শাসক ও বিরোধী দলদগুলির প্রচার তুঙ্গে। সভা, মিছিল, রোড শো গুলিতে রাজনৈতিক দলগুলির সকর্মী-সমর্থকদের উপচে পড়া ভিড়। করোনা বিধি উড়িয়েই দেদার চলছে সভা, মিছিল, রোড শো। রাজনৈতিক কর্মী-সমর্থকরা তো বটেই নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে কোভিড প্রোটোকলকে শিকেয় তুলছেন নেতারাও। মাস্ক ও দূরত্ব বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই চলছে অবাধে প্রচার। বিশেষজ্ঞদের একটি বড় অংশের দাবি, করোনা চলে গেছে এটা ভেবেই বড়সড় ভুল করছেন নাগরিকদের একাংশ। এই উদাসীনতাই কাল হচ্ছে শহরের বাসিন্দাদের।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।