ঢাকা: বর্ষীয়ান নেত্রী তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। তাঁর নমুনা পরীক্ষা রিপোর্টে পজিটিভ এসেছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বাংলাদেশে বিরাট আকার নিয়েছে ইতিমধ্যে। বাংলাদেশের অন্যতম বিরোধী নেত্রী ও বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সংবাদে রাজনৈতিক মহল তোলপাড়। একাধিক মামলায় জড়িয়ে জেল খেটে এখন তিনি ঢাকার গুলশনে নিজ বাসভবন ফিরোজায় রয়েছেন। তবে আদালতের নির্দেশে তাঁর গতিবিধি নিয়ন্ত্রিত।

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কোভিড পজিটিভ জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তবে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের দাবি ম্যাডামের করোনা আক্রান্ত খবর ভিত্তিহীন।এদিকে জানা যাচ্ছে, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নেওয়ায় শনিবার নমুনা দেন খালেদা জিয়া। রবিবার সেই রিপোর্ট এসেছে। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের পরামর্শে করোনার নমুনা নেওয়া হয়।

সূত্রের খবর, খালেদা জিয়া গত কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছেন। তাই তিনি করোনা আক্রান্ত কিনা জানতে নমুনা পরীক্ষা করান। সেই রিপোর্ট পজিটিভ আসায় চিন্তিত চিকিৎসকরা। জানা গিয়েছে,একটি বেসরকারি হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা হবে। সেখানকার চিকিৎসকদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ঢাকার একটি বিশেষ আদালত খালেদার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলে ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে হাইকোর্ট তার আপিল খারিজ করে তার শাস্তির মেয়াদ বাড়িয়ে ১০ বছর করে। এছাড়াও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর তার সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড হয়। জেল থেকেই আইনি পথে জামিনের আবেদন করেন খালেদা জিয়া।

বিএনপি দাবি করে, জেলে গুরতর অসুস্থ তাদের নেত্রী। আবেদন পর্যালোচনা করে হাসপাতালে বিশেষ কক্ষ প্রস্তুত করে কড়া পাহারায় খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছিল। গত বছর করোনা সংক্রমণের আগে তাঁকে বাড়ি যাওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। তবে বলা হয়, খালেদা জিয়া চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যে কোনও হাসপাতালে চিকিৎসা সুবিধা নিতে পারবেন।বিদেশে যাওয়ার অনুমতি পাবেন না।

খালেদা জিয়ার পরিবারের তরফে বারবার তাঁকে বিদেশে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার দাবি করা হয়েছে। এই আবেদনের নিরিখে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।