মুম্বই: কোনো না কোনো বিতর্ক লেগেই আছে অল্ট বালাজির ওয়েব সিরিজ ঘিরে। এবার একতা কপূরের বিরুদ্ধে তাঁর আসন্ন ওয়েব সিরিজ ‘হিজ স্টোরি’-র পোস্টার অন্য ছবির নকলে তৈরি করার অভিযোগ উঠল। তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে তাঁর নতুন ওয়েব সিরিজের পোস্টার ঘিরে। ‘হিজ স্টোরি’র পোস্টারের সঙ্গে ‘এলওইভি’র পোস্টারের মিল দেখে হতবাক নেটাগরিকরা। নানা মন্ত্যব্য তাঁরা বিঁধেছেন একতা কপুরকে।
গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে অল্ট বালাজির নতুন ওয়েব সিরিজ হিজ স্টোরির পোস্টার। পোস্টারে দেখা যাচ্ছে, একজন পুরুষ আর একজনকে জড়িয়ে শান্তিতে ঘুমোচ্ছে। দু’জনেই এক পাশে ফিরে। পিছনের জন সামনের জনকে জড়িয়ে রয়েছে। সামনের জন তাঁর বাঁ হাত অন্য পুরুষের হাতের উপরে রেখেছে। মাথায় সাদা বালিশ। ঘটনাচক্রে ২০১৫ সালের একটি ছবি ‘এলওইভি’র পোস্টার-ও একদম এক। তাই সঙ্গে সঙ্গে নেটমাধ্যমে মন্তব্য শুরু হয়ে যায়। ‘এলওইভি’ পোস্টার তুলে আনেন নেট নাগরিকরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,দু’টি ছবিই দুই সমকামী পুরুষকে নিয়ে তৈরি।
ছবির গল্পে কুণাল ও সাক্ষীর বিয়ে হয়। দুজন দুজনকে ভালোবাসলেও কুণাল মনে মনে নিজের জীবন সঙ্গিনী নয় সঙ্গী হিসেবে চায় প্রীতকে। বিয়ে, ভালোবাসা, প্রেম, সত্যি মিথ্যের লড়াই, নিজের মনের সঙ্গে নিজের জীবনের চাওয়া পাওয়ার দ্বন্দ্ব আর তথাকথিত সভ্য সমাজের ‘লোকে কী বলবে’ আর শেষ অব্দি মেনে নেওয়া আর মনে নেওয়ার গল্পই হলো ‘হিজ স্টোরি’। ২৫ এপ্রিল থেকে অল্ট বালাজিতে দেখা যাবে এই ওয়েব সিরিজ।
ছবির বিষয় ও ভাবনা যতই ভালো হোক না কেন, দুটি পোস্টার অর্থাৎ ‘হিজ স্টোরি’ ও ‘এলওইভি’র পোস্টার একসঙ্গে রেখে সিরিজের প্রযোজকদের উদ্দেশ্য করে কেউ অল্ট বালাজির উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনারা ঠিক আছেন তো? যদি পোস্টার বানানোর লোকের দরকার পড়ে, আমাকে বলুন। কম খরচে করে দেব’। এই ব্যক্তির পোস্ট দেখে স্পষ্ট, তিনি ‘এলওইভি’র ছবির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি আরও লিখেছেন, ‘অনেক মাস ধরে পরিশ্রম করে একটি স্বাধীন ছবি তৈরি করা বেশ কঠিন। কিন্তু যারা দামি স্টুডিয়োতে বসে কাজ করতে পারে, তারা চুরি করে’।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.