ইতালি: ভারতীয় পুরাণে দেবতাদের একাধিক মুখ এমন নতুন কোনো বিষয় নয়। চতুরানন ব্রহ্মা বা পঞ্চানন মহাদেবের কথা আমরা সকলেই জানি বা শুনেছি। গীতায় শ্রীবিষ্ণুর যে পরম রূপের কথা বর্ণনা করা রয়েছে, সেখানে তারও অজস্র মুখের কথা জানা যায়। দেব – দানব থেকে মানুষ পশুপাখি সবই না কি মিলিয়ে যায় সেই সহস্র মুখের মধ্যেই। অসংখ্য মুখ না হলেও, রোমান দেবতা জানুস বা ইয়ানুসেরও ছিল দু’দুটি মুখ এটা কি জানেন?,কে এই জানুস?
প্রাচীন রোমান পুরাণ অনুসারে জানুস ছিলেন কোনো কিছুর শুরু আর শেষের দেবতা। নানা বিষয়ে আশ্চর্য ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন এই দেবতা। সময়, দিক, গতি, পথের দেবতাও নাকি তাকেই মানা হতো সেই সময়ে। সেই সময়কার রোম দেশের যে কোনো স্থাপত্যের প্রবেশ পথের দরজার উপরেই রাখা হত এই দেবতার মূর্তি। প্রবেশ পথের দরজার উপরেই রাখা হত জানুসের মূর্তি। রোমানরা আগেকার দিনে মনে করতেন যে স্বর্গের পথে প্রথমেই যার মুখোমুখি হতে হবে তিনিই নাকি দেবতা জানুস। তাই তাকে তুষ্ট করতে না পারলে দরজা থেকেই খালিহাতে ফিরে যেতে হবে ও কোনোই প্রবেশাধিকার মিলবে না।
আরো পোস্ট- হজম ক্ষমতা বাড়তে পারে ছাতুর শরবত পান করে
চেহারার দিক থেকে দুমুখো দেবতা জানুস যেন এক শান্ত যোগী পুরুষ। পুরোনো স্থাপত্যের গায়ে কিংবা প্রাচীন রোমান মুদ্রায় জানুসের যেসব ছবি পাওয়া যায়, তাতে দেখা যায় তার মাথা ভর্তি কোঁকড়া কোঁকড়া চুল, ঋজু টিকোলো নাক, অন্তর্ভেদী চোখ আর একগাল সযত্ন লালিত দাড়ি। ঘাড়ের উপর দুদিকে বসানো দুই মুখের বদলে কোনো কোনো স্থাপত্যে আবার দেখা যায় যে একটি মুখ যুবকের অন্যটি বৃদ্ধের। বৃদ্ধের মাথায় মেষের মতো পাকানো শিং। এই দেবতার দুদিকে দুটো মুখ থাকার জন্যই সম্ভবত তিনি হয়ে উঠেছিলেন সমস্ত পরস্পরবিরোধী শক্তির মূল।
বাস্তব আর অবাস্তব, সত্যি আর কল্পনার ঠিক মাঝখানে যেন দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। জীবন-মৃত্যু, যৌবন-বার্ধক্য, শুরু-শেষ, যুদ্ধ-শান্তি , বর্বরতা সভ্যতা, এই সমস্ত কিছুই ছিল জানুসের অধিকারের মধ্যেই। মরজীবন থেকে অমরলোকে যাওয়ার পথে দিশা দেখাতেন তিনিই।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.