মহঃ সেলিমের প্রতিক্রিয়া
কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিচালনা এবং তাতে মানুষের মৃত্যুর ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা করছেন সিপিএম পলিব্যুরোর সদস্য এবং এবারের নির্বাচনে চণ্ডীতলা কেন্দ্রের প্রার্থী মহঃ সেলিম। তিনি বলেছেন, গণতন্ত্রের উৎসবকে রক্তের হোলি দিয়ে কলুষিত করবার এই ঘৃণ্য ‘খেলা'র তীব্র প্রতিবাদ জানানো উচিত সকল গণতন্ত্রপ্রিয়, শান্তিকামী মানুষের। সত্ত্বর এই ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করছেন তিনি।
উস্কানিতে দায়ী মমতা
পাশাপাশি মহঃ সেলিম আরও বলেছেন, এই ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীও নিজের দায় অস্বীকার করতে পারেন না। তিনি বারংবার নিজের সমর্থকদের হিংসাত্মক করে তুলতে চেয়েছেন, উস্কানি দিয়েছেন। বারবার এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে দরবার করা সত্ত্বেও তারা এব্যাপারে উদাসীন থেকেছে। দুঃখজনকভাবে, মুখ্যমন্ত্রী বাংলার সমাজের একাংশকে নিজের ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করেন ও তাঁদের প্রাণের বিনিময়ে গদি বাঁচাতে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা বোধ করেন না। শীতলকুচির এই মর্মান্তিক ঘটনা ভারতের গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি কালো দিন।
সূর্যকান্ত মিশ্রের প্রতিক্রিয়া
যেহেতু নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করছে, তাই শীতলকুচির ঘটনার তদন্ত নির্বাচন কমিশনেরই করা উচিত। এদিন এমনটাই মন্তব্য করেছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তবে গুলি চালনার আগে যে যে পদক্ষেপ নেওয়ার দরকার ছিল, তা নেওয়া হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর উস্কানিমূলক বার্তাও যে এই ঘটনার জন্য দায়ী, তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীও যে সবক্ষেত্রে নিরপেক্ষ নয়, তাও বুঝিয়েছেন তিনি। তবে গুলিতে মৃতদের পরিবারের পাশে সিপিএম তথা বামেরা থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অধীর চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া
অধীর চৌধুরী এদিনের শীতলকুচির ঘটনা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেছেন, নির্বাচন কমিশন বাংলায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য যতসংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী দিচ্ছে, তা যথেষ্ট নয়। নির্বাচন কমিশন বাংলার নির্বাচনের জন্য যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তা বাংলার নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ করতে যথেষ্ট নয়, তা পরিচয় পাওয়া গেল। ফলে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ। বিষাক্ত রাজনীতির পরিণামে বাংলায় রক্ত ঝড়ছে বলেও অভিযোগ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তিনি বলেছেন, তৃণমূল এবং বিজেপি, দুই দানব শক্তিকে বাংলায় পরাস্ত করা দরকার। তাই সংযুক্ত মোর্চার তরফে আবেদন বাংলাকে নিরাপদ বাংলা তৈরি করুন।