মোদীর নামে ভোট, হিন্দু স্লোগানে ভোট
প্রশান্ত কিশোরকে বলতে শোনা গিয়েছে ভোট হচ্ছে মোদীর নামে, ভোট হচ্ছে হিন্দু স্লোগানে। পোলারাইজেশন, মোদী, হিন্দিভাষী, তফশিলিরা এবারের ভোটে ফ্যাক্টর। তিনি বলেছেন, বাংলার ভোটারদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যথেষ্টই জনপ্রিয়। এছাড়াও রাজ্যে হিন্দিভাষীদের এককোটির বেষশি ভোট রয়েছে। রাজ্যে দলিত ভোট রয়েছে ২৭ শতাংশ। এই সব ভোট পুরোপুরি বিজেপির সঙ্গে রয়েছে বলেও মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে প্রশান্ত কিশোরকে। পাশাপাশি পোলারাইজেশনও রয়েছে। যা বিজেপিকে সাহায্য করছে।
শুভেন্দু কোনও ফ্যাক্টর নয়
প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, এবারের ভোটে তিনি তৃণমূলের ভোটকুশলী হোন, কিংবা শুভেন্দু অধিকারীর তৃণমূল ছেড়ে যাওয়া, কোনও ফ্যাক্টরই নয়। প্রসঙ্গত ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুরের সভায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপর প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিজেপিতে যোগ দেন। এরপর থেকে অনেক ছোট-বড়-মাঝারি-ছোট নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। অনেকেই বলছেন, অন্তত চার জেলায় শুভেন্দু অধিকারীর প্রভাব রয়েছে। সেই সময় জেলায় বিজেপি এবারের নির্বাচনে সুবিধা পাবে। তবে প্রশান্ত কিশোরের দাবি শুভেন্দু অধিকারীর তৃণমূল ছেড়ে যাওয়ার কোনও ফ্যাক্টর হবে না এবারের ভোটে।
ভোটে মতুয়া সম্প্রদায়
সাক্ষাৎকারে এক সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেন, মতুয়া ভোট কোন দিকে। প্রশান্ত কিশোর উত্তরে বলেছেন, বেশিরভাগ মতুয়া বিজেপিকে পছন্দ করেন। লোকসভা ভোটেও তা দেখা গিয়েছে। তবে সেরকম না হলেও, এবারের ভোটে মতুয়াদের ৭৫ শতাংশ বিজেপিতে এবং ২৫ শতাংশ তৃণমূলে ভোট দেবেন। তিনি বলেছেন, একটা সার্ভে করা হয়েছিল ভোট কাকে দেবেন এবং সরকার কার হবে। সরকার কার হবে, সেখানে অধিকাংশ মানুষ বলেছেন বিজেপির সরকার হবে। তবে ওই মতামত পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, যারা বিজেপিকে ভোট দিচ্ছে, তারাই তো বলছে বিজেপির সরকার হবে। ফলে বেশিরভাগ মানুষই বলছেন, বিজেপির সরকার হবে।
বামেরা ভোট পাবে ১০ থেকে ১৫%
তিনি বলেছেন, বামেদের ভোট দিতে পারেন ১০ থেকে ১৫ শতাংশ মানুষ। তাদের দুই-তৃতীয়াংশ বলছেন, বিজেপির সরকার হবে। তিনি বলেছেন, বামেরা বলছে, বিজেপি আসলে তাদের সুযোগ আসবে। তাই এখন মমতার হারা উচিত।
নিচুতলায় বিজেপির প্রচুর কর্মী
প্রশান্ত কিশোরকে বলতে শোনা গিয়েছে, এটা ঠিক নয় যে নিচুতলায় বিজেপির কর্মীর অভাব রয়েছে। দেখা গিয়েছে বিজেপির প্রচুর কর্মী রয়েছে। তবে এদের বেশিরভাগই বামেদের থেকে আগত। তবে তাঁদের সবাই বিজেপির জন্য কাজ করছেন। দু-একটি জায়গায় বাদ দিলে এমন কোনও জায়গা নেই, যেখানে বিজেপির মজবুত সংগঠন নেই। অর্থাৎ প্রশান্ত কিশোর স্বীকার করে নিয়েছেন, জায়গায় জায়গায় বিজেপির মজবুত সংগঠন রয়েছে। তিনি বলেছেন, ৫০ থেকে ৫৫% হিন্দু ভোট এবার বিজেপি পেতে চলেছে।