ব্যারাকপুর : “ভোট ঠিক করে হচ্ছে তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষ কে উস্কাচ্ছেন তার ফল স্বরূপ আজ ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে গেলো, তাই এই ঘটনা মুখ্যমন্ত্রীর প্ররোচনায় ঘটেছে ” শনিবার বিকালে বেলঘরিয়ার শহীদ বেদী মোড়ে কামারহাটি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচারে এসে এমন বললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
কামারহাটিতে বিজেপি প্রার্থী রাজু ব্যানার্জীর সমর্থনে রোড-শো অংশ নেন দিলীপ ঘোষ। তিনি সেখান থেকে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেন।
শনিবার চতুর্থ দফার ভোটে কোচবিহার জেলার শীতলকুচি বিধানসভার দুটি ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনির গুলিতে মোট পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে শীতলকুচির মাথাভাঙায় চারজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ঘটনার পরেই তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক রাজ্য জুড়ে। বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস পরস্পরকে দুষছে। সংযুক্ত মোর্চার নেতৃত্ব দু পক্ষকেই তীব্র কটাক্ষ করেছেন। বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি উঠেছে।
কামারহাটিতে প্রচারে এসে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে মানুষকে উসকাচ্ছেন, যেভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনিকে হাতা খুন্তি নিয়ে আক্রমণ করতে বলছেন, এটা তারই পরিনাম। আর তার ফলে ৫ জন মানুষের মৃত্যু হল।
তিনি আরো বলেন “মমতা ব্যানার্জী যেভাবে মানুষকে যে ভাবে উস্কানি দিচ্ছেন তার বিরুদ্ধে একটি সুয়োমোটো মামলা হওয়া দরকার এবং নির্বাচন কমিশনের উচিত তাকে কোনও নির্বাচনের প্রচার থেকে বিরত রাখা। আগামী ২ মে তারিখের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদত্যাগ করবেন। অমিত শাহর পদত্যাগের কোন দরকার নেই। কারণ, অমিত শাহের হাতে দেশ একদম সুরক্ষিত রয়েছে। আর তার জন্য রাজ্যে র মানুষ অবাধ ও নির্ভয়ে ভোট দিতে পারছেন।”
কোচবিহারের শীতলকুচিতে গুলি চালানোর ঘটনার পর শিলিগুড়িতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সেন্ট্রাল আর্ম পুলিশ ফোর্সকে কে মেরেছে? সংবাদ মাধ্যমের এতো ক্যামেরা ঘুরছে, সেনা বাহিনীর গায়ে কেউ হাত দিলে তা সংবাদ মাধ্যমের নজরে পড়তো না? এসব পুরো মিথ্যা কথা। আত্মরক্ষার্থে গুলি চালানো হয়েছে এসব কেন বলা হচ্ছে? আজকের ঘটনার ষড়যন্ত্রকারী হলেন অমিত শাহ। অমিত শাহের পদত্যাগ করা উচিত। দিল্লির নির্দেশে বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে। এটা গণতন্ত্রের লজ্জা । আমি কাল শীতলকুচি যাবো। শীতলকুচির ঘটনার তদন্ত করুক সিআইডি । আমি ঠুঁটো জগন্নাথ নই।”
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.