ওয়েলিংটন: বর্তমানে বিশ্ব জুড়েই ট্যাটুপ্রেমীর সংখ্যা আস্তে আস্তে বেড়েই চলেছে। রুচি ও আভিজাত্য ট্যাটু আজকাল ফ্যাশনের অন্যতম অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু ট্যাটু আঁকাই নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে এই ট্যাটুর বর্ণিল ইতিহাস। এরই মধ্যে অন্যতম হলো কাটা মাথা সংগ্রহ করা যা এই ট্যাটুর সাথেই নাকি জড়িত। বিশ্ব ইতিহাস বলছে, এ সময়ে যা ট্যাটু নামে জনপ্রিয় সেটি প্রথম আঁকানো হয়েছিল প্রায় ১৪ হাজার বছর আগে। যদিও ওই যুগে নিজের গোত্রের লোক ট্যাটু আঁকাতো ফ্যাশনের কারণে নয়। নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করতে বা নিছক ধর্মীয় কারণে।
মৃত মানুষের মাথার রয়েছে বিশেষ নাম “মোকোমোকাই”। ১৮৬৪ সালে ব্রিটিশ মেজর জেনারেল হোরাশিও গর্ডন রবলে কর্মসূত্রে নিউজিল্যান্ডে কয়েক বছর নাকি কাটিয়েছিলেন বলে শোনা যায়। সেখানে তিনি দেখতে পান যে মাওরি নামক এক বিশেষ উপজাতির শরীরে বিশেষত পুরো মুখ জুড়ে নানা অদ্ভুত অঙ্কন করা রয়েছে। মূলত উপজাতিদের এই গোষ্ঠী নিজেদের আলাদাভাবে লোকসমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে ট্যাটু আঁকাতো। বিশেষ করে মুখে যে চিরস্থায়ী ট্যাটু করতো সেটিকে টা-মোকো বলে।
আরো পোস্ট- ওজন কমাতে এই ৫ ধরণের বাদাম মাস্ট ডায়েটে
সেই ট্যাটু খুব পছন্দ হওয়াতে জেনারেল তার নিজেরই হাতে কিছু ট্যাটু এঁকে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে এক বিশেষ উদ্দেশ্যে এই এঁকে আনা ট্যাটুর বিবরণ লেখার চেষ্টা করলেও তিনি স্পষ্টভাবে কি লিখবেন সেই সম্পর্কে কিছু বুঝতে পারছিলেন না। তাই অদ্ভুত এক কান্ড করে বসলেন গর্ডন যা শুনলে কেঁপে উঠবেন। তিনি নামলেন এক বিশেষ শখ পূরণে। মাওরিদের কাটা মাথা সংরক্ষণ করা শুরু করলেন তিনি। মাথার ভেতরের পচনশীল অংশ যেমন চোখ, ঘিলু, চামড়া এগুলো বের করে বিশেষ গাছের ছাল ও আঠার সাহায্যে মাথা সংরক্ষণ করতেন তিনি দীর্ঘ সময়ের জন্যে। আর এতেই কিছু মাথা বছরের পর বছর অবিকৃত অবস্থায় থেকেছে যা সত্যি অবাক করার মতোই।
শোনা যায় গর্ডন প্রায় ৩০ থেকে ৪৫টি মাথা সংরক্ষণ করলেও সবগুলো আর অক্ষত অবস্থায় নেই। এই মাথাগুলোরই বিশেষ নামটি হলো “মোকোমোকাই”। উল্কি করা মাথার কয়েকটি আপনি এখনো দেখতে পাবেন কারণ তার কয়েকটি এখনো আমেরিকান মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রি জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। সুযোগ পেলে দেখে আসতে পারেন কাটা মাথার সেই বিশেষ উল্কিগুলো।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.