শিলিগুড়ি: নির্বাচনের দিন ফের রাজ্যে হাজির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চতুর্থ দফার ভোটের দিন তিনি এবার হাজির হলেন উত্তরবঙ্গে। শিলিগুড়ির সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করলেন মোদী।
পাশাপাশি কোচবিহারের শীতলকুচির ঘটনা ‘দুর্ভাগ্যজনক’ জানিয়ে মৃতদের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানান মোদী। পাশাপাশি এ ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
সভামঞ্চ থেকে মোদী বলেন, “দিদির গুন্ডাবাহিনীর গা জোয়ারি আর চলবে না”। পাহাড়বাসীর উদ্দেশ্যে মোদী বলেন, “বাংলার মানুষের মধ্যে নেতিবাচক মানসিকতার সৃষ্টি করেছেন দিদি। বিজেপি সরকার এসে গোর্খা, রাভা সমস্ত জনজাতিকে রক্ষা করবে।”
মমতাকে সরাসরি আক্রমণ করে মোদী বলেন, “দিদিকে ঈশ্বর বাংলার মানুষের সেবা করার সুযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু দিদি বাংলাকে বরবাদ করে ছেড়েছেন।” তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটে যেমন ছাপ্পা হয়েছিল, এবার তেমন হচ্ছে না। তাই দিদি এত রেগে যাচ্ছে।”
সরাসরি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দিকে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “এক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্য সভা থেকে ট্রেনিং দিচ্ছেন কীভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করতে হবে। কীভাবে পেটাতে হবে। আরে দিদি … আমাদের বীর জওয়ানেরা সন্ত্রাসবাদীদের ভয় পায় না, নকশালদের ভয় পায় না। আপনি তো কোন ছাড়! “
পাশাপাশি উত্তরবঙ্গবাসীকে আশ্বাস দিয়ে মোদী জানান, “উত্তরবঙ্গে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর আমূল বদল হবে। পর্যটন ক্ষেত্রকে বিশেষ গুরুত্ব দেবে সরকার। টয় ট্রেনকে পৌঁছে দেওয়া হবে বিশ্বের দরবারে।” বিজেপি সরকার যে সাধারণ মানুষের বিকাশে দিন রাত এক করে দেবে, এ বিষয়ে মানুষকে আশ্বস্ত করেন মোদী।
উল্লেখ্য রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোটে ঘটে গিয়েছে ভয়ংকর ঘটনা। শীতলকুচির জোড় পাটকির ১৩৬ নম্বর বুথে সিএপিএফ -এর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে গুলি চালিয়েছে বাহিনীই। তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের কাছে জবাব দাবি করেছেন। বলেছেন, “এই রক্ত উপত্যাকা আমার দেশ নয়, আমরা শান্তি চাই।” অভিযোগ মৃত ৪ জনই তৃণমূল কর্মী। ঘটনায় ওই বুথে ভোট বন্ধ রেখেছে ইলেকশন কমিশন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.