দিনহাটা : দিনহাটায় তৃণমূল এজেন্টকে বুথের বাইরে মেরে বার করে দেওয়ার অভিযোগ। দিনহাটার তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ এই অভিযোগ করেন। অভিযোগের তির বিজেপি-র বিরুদ্ধে। খবরে প্রকাশ, শনিবার সকালে এখানকার ২২৭ নম্বর বুথের রুইয়েরকুঠিতে তৃণমূল এজেন্টকে বুথে বসতে বাধা দেওয়া হয়। এমনকি এজেন্টকে আটকে রেখে তাঁর আত্মীয়র মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এর পর তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ ঘটনাস্থলে এলে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়।
শনিবার সকালেই অভিযোগ আসে দিনহাটার ২২৭ নম্বর বুথে তৃণমূলের এজেন্টকে বুথে বসতে দেওয়া হচ্ছে না। জোর করে তৃণমূল এজেন্ট বুথে ঢুকলে এজেন্টের আত্মীয়কে বিজেপি আটকে রাখে বলে অভিযোগ। বলে এজেন্ট বুথে বসলে তাঁর আত্মীয়কে আটকে রাখা হবে, ছাড়া হবে না। তৃণমূল এজেন্টের আত্মীয়র মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। কেড়ে নেওয়া হয় তাঁর মোবাইল। এই ঘটনায় আক্রান্তের বাড়ির মহিলারা বুথের সামনে চলে আসেন। তাঁরা তীব্র প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। বলেন, এই মুহূর্তে মোটর সাইকেল ফিরিয়ে দিতে হবে। ফিরিয়ে দিতে হবে মোবাইল ফোন। ছাড়তে হবে এজেন্টের আত্মীয়কে, যাকে আটকে রেখেছে বিজেপি। প্রিসাইডিং অফিসার-এর কাছে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “এই বুথে তৃণমূল এজেন্ট আছে।” আসলে প্রিসাইডিং অফিসার যখন বলছেন বুথে এজেন্ট আছেন তখন আসলে বুথে তৃণমূল এজেন্ট ছিলেন না। প্রশ্ন উঠছে প্রিসাইডিং অফিসারের ভূমিকা নিয়ে। তিনি কী তাহলে কোনও রাজনৈতিক দলের কথায় চলছেন? সেই প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল নেতা -কর্মীরা। তবে নির্বাচন কমিশন পুরো বিষয়টির ওপর নজরদারি শুরু করেছে। প্রিসাইডিং অফিসারের ভূমিকা খতিয়ে দেখছে কমিশন, নির্বাচন কমিশন ঘটনার খোঁজ নিচ্ছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে চলে আসেন দিনহাটার তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ। তাঁকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “প্রথমে আমাদের এজেন্টকে বিজেপি কর্মীরা বুথে ঢুকতে বাধা দেয় । আমি ঘটনাস্থলে আসার পর বলি আমি দাঁড়িয়ে বুথে এজেন্ট বসাবো এবং সেটাই করি। তবে বিজেপি আমাদের বুথ এজেন্টে এক আত্মীয়কে মারধর করেছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর মোটর বাইক। তবে শেষ পর্যন্ত আমি এজেন্ট বসিয়ে আসলেও পরে আবার আক্রমণ হবে কি না বোঝা যাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় বাহিনী কী করছে?”
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.