কলকাতা: বিশ্বব্যাপী অতিরিক্ত ওজনযুক্ত ও স্থূল ব্যক্তির সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে অসংখ্য শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য ব্যাধিগুলির সংযোগ বোঝা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে পরিণত হয়েছে। কারণ শারীরিক ব্যাধিগুলির সঙ্গে অতিরিক্ত ওজন এবং স্থূলতার মধ্যে একটি যোগসূত্র রয়েছে। তবে মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থার সঙ্গে এই যোগসূত্রটি প্রায়শই আলোচনা হয় না, আর এই কথা জানিয়েছেন কসমস ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ বিহেভিরাল সায়েন্সেসর সিনিয়র সাইকিয়াট্রিস্ট ডাঃ সুনীল মিত্তাল।

ন্যাশেনাল মেন্টাল হেলথ সার্ভে অব ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে ভারতে নিত্যদিন প্রায় ১৩.৭৬ শতাংশ মানুষ মানষিক ব্যাধির মতো রোগে ভুক্তভোগী।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু আবার জানিয়েছে আফ্রিকা এবং এশিয়ার ৪০ শতাংশ মানুষ ওজনযুক্ত হয়ে থাকে এবং মাত্র এক তৃতীয়াংশ মানুষ স্থূল হয়। প্রতিবছর প্রায় চার মিলিয়ন মানুষ স্থূলতার কারণে মারাও যায়। বিশ্বব্যাপী, অতিরিক্ত ওজনযুক্ত ও স্থূল শিশু এবং কিশোর-কিশোরীর সংখ্যা ১৯৭৫ সালের তুলনায় চারগুন বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮ সালে, যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ১৮ শতাংশে। উন্নয়নশীল দেশগুলির সঙ্গে তাল মিলিয়ে শহরাঞ্চলে ওজন ও স্থূলত্ব উভয়েরই হার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ভারতে শহরে এবং গ্রামে মোট ১৩.৫ কোটি মানুষ স্থূল হয়ে উঠছেন এবং এই তালিকায় প্রতি বছর যুক্ত হচ্ছে আরও ১ কোটি করে মানুষ। এর পাশাপাশি লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিনের গবেষক এস লুহার এবং তার সহকর্মীরা জানাচ্ছে আগামী ২০৪০ সালে ভারতে প্রায় ৩০.৫ শতাংশ পুরুষ ও ৯.৫ শতাংশ মহিলা বেশি ওজন হবে এবং ২৭.৪ শতাংশ পুরুষ ও ১৩.৯ শতাংশ মহিলা স্থূল ওজনের হয়ে থাকবে।

একজন মানুষের স্থূলতা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার পাশাপাশি মানসিক রোগেরও কারণ হতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। ডাঃ মিত্তাল আবার এই বিষয়ে জানান, সাধারণ প্যাথলজি বা শারীরবৃত্তীয় ব্যাঘাত স্থূলতা এবং মানসিক ব্যাধি উভয়ই হতে পারে, যা উদাহরণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন হাইপোথাইরয়েডিজম এবং পলিসিস্টিক ডিম্বাশয় সিন্ড্রোমের কথা। অন্যদিকে ওজন বাড়ার পাশাপাশি উদ্বেগ ও হতাশাও বাড়িয়ে তোলে বলেও জানান তিনি।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।