লন্ডন: করোনা ভাইরাসের কারণে ভারতে লকডাউনের সময় অনলাইন ক্লাস নিয়ে একটি রিপোর্ট পেস করেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পেস (ওইউপি)। তারা তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে ভারত এই মহামারীর সময়ে অনলাইন পড়াশোনাতে রূপান্তরটি খুব ভালভাবে সম্পন্ন করেছে। এর পাশাপাশি ওইউপি ডিজিটাল শেখার ডিভাইসগুলিতে অসম অ্যাক্সেস এবং ইন্টারনেট সংযোগের অভাবের মতো প্রধান বিষয়গুলি চিহ্নিত করে ডিজিটাল ডিভাইডের বিষয়টিও উল্লেখ করে।
“এডুকেশনঃ দ্যা জার্নি টুয়ার্ড আ ডিজিটাল রেভোলেউশন” একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এই মহামারীর কারণে শিক্ষা একটি হাইব্রিড মডেল এডুকেশনে রূপান্তরিত হয়েছে। পড়ুয়ারা অফলাইন চিরাচরিত শিক্ষার মডেলের সঙ্গে এই ডিজিটাল শিক্ষার মডেলের সঙ্গেও পরিচিত হয়েছে এই পর্বে। পাশাপাশি সরকারকে ২০২০ সালের শিক্ষাবর্ষের সমস্ত সিলেবাস যাতে বাদ না পড়ে যায় তার দিকে নজর রাখার কথা বলা হয়েছে রিপোর্টটিতে।
বিশ্বের একাধিক শিক্ষক থেকে গবেষকদের দৃষ্টি অকর্ষণ করেছে ভারত, দ্যা ইউনাইটেড কিংডম, ব্রাজিল, দক্ষিন আফ্রিকা, পাকিস্তান, স্পেন এবং তুর্কি এই সাতটি বাজারের ওপরে। সম্পূর্ন ২০২০ সালে গোটা বিশ্ব জুড়ে সমস্ত পঠন পাঠন বন্ধ থাকার জন্য প্রায় ১.৭ বিলিয়ন পড়ুয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর এই কারণে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষক, পড়ুয়া এবং অভিভাবক কী ভাবে ডিজিটাল শিক্ষার জগৎকে গ্রহণ করে নেয় এবং ভবিষ্যতে শিক্ষামূলক অনুশীলনকে রূপ দেওয়ার জন্য ডিজিটাল শেখার সরঞ্জাম এবং সংস্থানগুলি ব্যবহারইবা কী ভাবে করেন সেই বিষয়ে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেসের প্রকাশ করা রিপোর্টে বলা হয়েছে, অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ভারত ৫ এর মধ্যে ৩.৩ স্কোর করেছে। তবে এই অনলাইনের ক্ষেত্রে পাচিল হয়ে দাঁড়াচ্ছে পর্যাপ্ত ডিভাইসের অভাব এবং ইন্টারনেটের মতো সুবিধা না থাকার ডিজিটাল ডিভাইডগুলি। এর পাশাপাশি এই রিপোর্টে আরও উল্লেখ করে প্রকাশ করা হয়, অনলাইন শিক্ষার ফলে বাচ্চাদের নিজেদের আশেপাশের পরিবেশের সঙ্গে যোগাযোগ কম ঘটছে, যা তাদের মানষিক বিকাশকেও খানিকটা ক্ষতি করে থাকে। এছাড়াও এই রিপোর্টে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, সরকার ২০২০ সালের বন্ধ থাকা পঠন-পাঠন যাতে এড়িয়ে না যায় তার বিষয়।
ভারতে এই মহামারীর সময়ে অনলাইন পড়াশোনার বিষয়ে ৭১ শতাংশ মানুষ সরকারকে আরও বেশি প্রযুক্তি খাতে অর্থ বিনিয়োগ, ইন্টারনেট সংযোগের উন্নতি এবং শিক্ষদের বিভিন্ন সুযোগের ব্যবস্থার কথা জানিয়েছে। এই সকল মানুষ গ্রামে ইন্টারনেট সংযোগ অনেক পরিমানে বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে ভারত সরকারকে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.