বেহালা: চতুর্থ দফার ভোটের দিনে নির্বাচনবিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠল বিজেপির অভিনেত্রী প্রার্থী পায়েল সরকারের বিরুদ্ধে। বেহালা পূর্ব থেকে এবার পদ্ম শিবিরের হয়ে নির্বাচন লড়ছেন তিনি।

দাবি করা হচ্ছে, এদিন তাঁর কেন্দ্রে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালায় তৃণমূল। সেই আহত বিজেপি কর্মীদের বাড়ি দেখা করতে যান পায়েল, আর এখানেই নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে তারকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে। তিনি নিজে প্রার্থী হয়ে ভোটের দিন কীভাবে কর্মীর বাড়ি যান, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে এখন কী পদক্ষেপ নেয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

উল্লেখ্য, বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ রামজীবনপুরে ১৪২ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁদের কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় তৃণমূল। রাত সাড়ে তিন্টে নাগাদ ভোট দিতে না যাওয়ার শাসানি দেওয়া হয় বলে দাবি। একই সঙ্গে গাড়ি-বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলেও দাবি করেছে বিজেপি। অন্যদিকে তৃণমূলের নেতা রঘুনাথ পাত্র এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এই হামলার পরেই বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে পায়েলের বিরুদ্ধে। পায়েল অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতেও যান বলে জানা গিয়েছে। এব্যাপারে কমিশন বলছে, ভোটের দিন ভোটারদের বাড়ি যেতে পারেন না প্রার্থী’। নিজের দলের কর্মীদের বাড়ি যাওয়াও নির্বাচন বিধি বহির্ভূত কাজ বলে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, চতুর্থ দফায় ভোট গ্রহণ হচ্ছে ৪৪ আসনে। হুগলি, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, কোচবিহার, আলিপুর দুয়ার এই ৫ জেলার মানুষ এদিন ভোট দেবেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্বেও বেলা ১০ টার আগেই ভোট দিতে গিয়ে এদিন মৃত্যু হয়েছে এক নতুন ভোটারের। শীতলকুচিতে এ ঘটনা ঘটেছে। ভোটের লাইনে তিনি গুলিবদ্ধ হন। ঘটনায় নিন্দায় সরব রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

ভোটের লাইন ১৮ বছরের প্রথম ভোটারের মৃত্যুর ঘটনা চতুর্থ দফার ভোটে এই প্রথম। অসমে প্রথম ভোটারকে যখন ভোট দিতে এলে একটি ছাড়া গাছ দেওয়া হচ্ছে সেখানে পশ্চিমবঙ্গে গুলি খেয়ে মারা যেতে হচ্ছে ন্যূন ভোটারের। প্রত্যাশা নিয়ে ভোটের লাইনে এসে এভাবে আনন্দ বর্মণকে মরতে হবে সেটা কাঙ্খিত নয় গণতন্ত্রের এই বিশাল উৎসবে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।