শুরুতে ধাক্কা খেয়েও সুরেশ রায়নার অবনদ্য ব্যাটিংয়ে আইপিএল ২০২১-এর অতি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে লড়াইয়ে ফিরল চেন্নাই সুপার কিংস। ২০১৯ সালের পর ফের আইপিএলের বাইশ গজে নামা রায়না অর্ধশতরান করলেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান তুলল সিএসকে। অধিনায়ক হিসেবে আইপিএলের প্রথম ম্যাচে ঋষভ পন্থের কাছে কাঁটা হলেন রবিচন্দ্রণ অশ্বিন।
গুরু এমএস ধোনির বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে প্রথমবার অধিনায়ক হিসেবে আইপিএল খেলতে নামার আগে বেশ উজ্জীবিত ছিলেন শিষ্য ঋষভ পন্থ। চাপা উত্তেজনা তরুণ উইকেটরক্ষকের চোখেমুখে ফুটে ওঠে। অন্যদিকে শান্ত স্বাভাবের এমএস ধোনি শান্ত মেজাজেই টসে অংশ নেন। তার আগে কিংবদন্তির সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করে নেন উঠতি। তবে মাঠে যে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলবেন না, তাও বুঝিয়ে দেন ধোনি এবং পন্থ।
আইপিএল কেরিয়ারের প্রথম ম্যাচ নেতৃত্ব দেওয়ার শুরুটা বেশ ভাল ভাবেই হল ঋষভ পন্থের। কোচ রিকি পন্টিংয়ের পরামর্শ মতো টসে জিতে আগে ফিল্ডিং করারই সিদ্ধান্ত নেন তরুণ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। সে অনুযায়ী শুরুটাও দুর্দান্ত হয় দিল্লি ক্যাপিটালসের। ম্যাচে দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার ফ্যাফ ডুপ্লেসিকে হারিয়ে ফেলে চেন্নাই সুপার কিংস। দিল্লির অভিজ্ঞ পেসার আবেশ খানের বলে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। পরের ওভারে ক্রিস ওকসের বলে আউট হন সিএসকে-র দ্বিতীয় ওপেনার ঋতুরাজ গায়েকোয়াড়ও। পাঁচ রানের বেশি করতে পারেননি তরুণ ব্যাটসম্যান।
পরপর দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া চেন্নাই সুপার কিংসকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে ম্যাচে ফেরান সুরেশ রায়না ও মইন আলি। দুই ক্রিকেটারের মধ্যে ৫৩ রানের ঝড়ো পার্টনারশিপ হয়। ২৪ বলে ৩৬ রান করে আউট হন মইন। চারটি চার ও দুটি ছক্কা আসে তাঁর ব্যাট থেকে। এরপর আম্বাতি রায়ডুর সঙ্গে জুটি বেঁধে একই গতিতে সিএসকে-র ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন রায়না। তাঁদের মধ্যে ৬৩ রানের পার্টনারশিপ হয়।
টম কারানের স্লোয়ার বলে তুলে মারতে গিয়ে লং অফে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান রায়ডু। তাঁর ১৬ বলে ২৩ রানের ছোট অথচ গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস একটি চার ও দুটি ছক্কা দিয়ে সাজানো। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমেই ব্যাট চালাতে শুরু করেন রবীন্দ্র জাদেজা। ইনিংসের ১৬তম ওভারে আবেশ খানের বলে দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে যান সুরেশ রায়না। তাঁর ৩৬ বলে ৫৪ রানের ইনিংস তিনটি চার ও চারটি ছয় দিয়ে সাজানো।
পাঁচ মাস পর ফের বাইশ গজে ব্যাট হাতে নামা এমএস ধোনির কাছ থেকে ধ্বংসাত্মক ব্যাটিং আশা করেছিলেন ক্রিকেট প্রেমীরা। তবে ১৬১ দিন পর সবাইকে হতাশই করলেন কিংবদন্তি। কোনও রান না করেই নবাগত আবেশ খানের বলে প্লে-ডাউন হয়ে সাজঘরে ফিরে যান সিএসকে অধিনায়ক। এরপর রবীন্দ্র জাদেজা ও স্যাম কারানের মধ্যে ছোট অথচ অতি গুরুত্বপূর্ণ রানের পার্টনারশিপ হয়। ১৪ বলে ৩৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন স্যাম। চারটি চার ও দুটি ছক্কা আসে তাঁর ব্যাট থেকে। দাদা টম কারানের এক ওভারে ২১ রান করেন ইংল্যান্ডের অল রাউন্ডার। ১৭ বলে ২৬ রান করেন রবীন্দ্র জাদেজা। তিনটি চার আসে তাঁর ব্যাট থেকে।
দিল্লির হয়ে ৪ ওভার বল করে ২৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তরুণ আবেশ খান। একটি করে উইকেট নেন টম কারান ও ক্রিস ওকস। উইকেট নিলেও ৪ ওভার বল করে ৪৭ রান দিয়েছেন রবিচন্দ্রণ অশ্বিন।